কলকাতা: শ্যুটিং হয়েছিল কালিম্পংয়ের মর্গ্যান হাউজ়ে। সেখানকার গল্প, বলা ভাল 'বদনাম' অবশ্য শ্যুটিংয়ে যাওয়ার আগেই শুনেছিলেন তিনি। আর তাই, গোটা শ্যুটিং, একটা বারের জন্যও একা হননি তিনি। মুখে অবশ্য বলতেন, 'সবাই একসঙ্গে আছি.. এটাই তো টিম ফিলিং।' কাউকে বুঝতে দিতেন না, ওইসব নেহাত অজুহাত। আসল কারণ সাহেব ভূতের ভয়! 'চারমূর্তি' ছবির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে? নাহ.. এই ঘটনা টেনিদার হলেও, পর্দার নয়। বাস্তবের। আজ মুক্তি পেল 'টেনিদা অ্যান্ড কোম্পানি' (Tenida And Company)। আর সেই ছবির শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিতে গিয়ে, এবিপি লাইভের (ABP Live)-এর কাছে ভূতের ভয়ের কথা অকপটে স্বীকার করলেন পর্দার টেনিদা ওরফে কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick)। 


ছবির কিছু অংশের শ্যুটিং হয়েছে কালিম্পংয়ের মর্গ্যান হাউজ়। পর্দার টেনিদার মতো বিধায়ক কাঞ্চনেরও কী ভূতের ভয় রয়েছে? অভিনেতা বলছেন, 'আমি ভূতে ভয় পাই কারণ ভূতকে দেখা যায় না। বাঘ বা ডাকাতকে দেখা যায়। ভৌতিক কোনও অভিজ্ঞতা হয়নি বটে, তবে গা ছমছম করে। কালিম্পংয়ের মর্গ্যান হাউসে শ্যুটিং হয়েছে এই ছবিটার। আমি একটা মিনিটও একা বসিনি। সবসময় সবার সঙ্গে সঙ্গে ঘুরেছি। সবাই ভেবেছে কী ইউনিট ফ্রেন্ডলি.... আমার তো আসলে মনে হত, যদি সাহেব ভূত ধরে কী করব! এমনিতেই সবাই বলত মর্গ্যান হাউস অন্যতম ভয়ঙ্কর জায়গা। মুখে বলতাম.. আমরা চারজন একসঙ্গে থাকব, এই তো একটা টিম ফিলিং।'


পর্দায় কাঞ্চন মানেই যেন দর্শকের মুখে লেগে থাকবে হাসি। অথচ মঞ্চে কাঞ্চন বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। পর্দায় এক ধরনের চরিত্র পাওয়ায় আক্ষেপ রয়েছে কাঞ্চনের? অভিনেতা বলছেন, 'হ্যাঁ আক্ষেপ ছিল, তবে এখন নেই। এখন আমি 'রাজকাহিনী', 'শাহজাহান রিজেন্সি', 'মন্টু পাইলট'- থেকে অভিনয় করেছি। এখন মানুষ বোঝে কাঞ্চন মল্লিক শুধু হাসাতে নয়, অন্যান্য চরিত্রকেও ফুটিয়ে তুলতে পারে। সেই চেষ্টাটা এখন শুরু হয়েছে। ২৬ বছর বাদে টেনিদা করতে এসে আমি পোস্টার হলাম। ২৬টা বছর একটু বেশিই সময় বটে, তবে আমার কাছে বেটার লেট দেন নেভার। টেনিদার চরিত্রে সায়ন্তন ঘোষাল আমায় ভরসা করেছেন, সুরিন্দর ফিল্ম সুযোগ দিয়েছে, এটাই বা কম কী?'


সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি দেখুন:



 


আরও পড়ুন: Sleep vs Work Performance: রাতভর ঘুম হয়নি! সকালে কাজে মন কীভাবে? রইল সহজ টিপস


আরও পড়ুন: Mango: অনলাইনে ২৫ কোটির আম অর্ডার করলেন ভারতীয়রা! সবচেয়ে বেশি বিকোল আলফানসো