কলকাতা: নতুন করে বাতিল দু'হাজার টাকার নোট। এবার ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আর ২০০০ টাকার নোট ছাপবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এও জানান হয়েছে, বাজারে যে ২০০০ টাকার নোট আছে তা আপাতত বৈধ থাকবে।


২৩ মে থেকে ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে মিলবে অন্য নোট। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৈধ থাকবে ২০০০ টাকার নোট। গ্রাহকরা ব্যাঙ্কে ২০০০ টাকার নোট জমা দিয়ে পরিবর্তে অন্য নোট নিতে পারবেন। একলপ্তে ব্যাঙ্কে ২০,০০০টাকা পর্যন্ত ২০০০টাকার নোট জমা দেওয়া যাবে, এমনটাই সিদ্ধান্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার। এখনও ২১, ৪২০ লক্ষ কোটি ২০০০ টাকার নোট ভারতের বাজারে রয়েছে। 


রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তে কী প্রভাব পড়তে পারে বাজারে? 


এ প্রসঙ্গে এবিপি আনন্দকে বাজার বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্ত বলেন, 'অর্থনীতিতে বিশেষ প্রভাব পড়বে বলে আমার মনে হয় না। কারণ ইতিমধ্যেই ২০০০ এর নোট ছাপা আরবিআই বন্ধ করে দিয়েছিল। নোট ইন সার্কুলেশন ধীরে ধীরে অবলুপ্তির পথেই গিয়েছিল। ব্যাঙ্কের এটিএম কিংবা কাউন্টারেও পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রাহকদের চাহিদায় কেবল তা দেওয়া হত। সমস্যা একটাই অনেক মধ্যবিত্তর কাছে হয়ত এই টাকা রয়ে গেছে। তবে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। ডিমনিটাইজেশনের কালো সময় হয়ত ফিরবে না। ব্যাঙ্কের কর্মীদের সচেষ্ট হতে হবে। এখন অনেকটাই সময় আছে হাতে। এনআরআ-দের হয়ত কিছুটা সমস্যা হতে পারে।'  


তিনি এও বলেন, কী কারণে এই নোট বাতিল হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, যখন এই নোট চালু করা হয়েছিল তখন বলা হয়েছিল এখানে চিপ জাতীয় কিছু থাকবে। আগামী দিনে জাল ২০০০ নোটের বাড়বাড়ন্ত রুখতে। সাধারণ মানুষ এই নোট নিতে আকৃষ্ট হতেন না। খুচরো ব্যবসায়ীদের জন্যও এই নোট সমস্যা তৈরি করেছিল। 


উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, হঠাৎ পুরনো ৫০০-র নোট ও ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করে মোদি সরকার। তারপর নোটবন্দি নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। RBI-এর দাবি, সেই পরিস্থিতিতে দেশীয় বাজারে নোটের যোগান সামাল দেওয়ার জন্যই ২০১৬ সালের নভেম্বরে বাজারে ২ হাজার টাকার নোট এনেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাজারে যত পরিমাণ ২ হাজার টাকার নোট রয়েছে, তার ৮৯ শতাংশ নোটই ২০১৭-র মার্চের আগে ছাপা হয়। 


 


আরও পড়ুন, এবার বাতিল ২০০০ টাকার নোট, কীভাবে বদলাবেন ব্যাঙ্কে ?