কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন নিয়ে একের পর এক মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে কঙ্গনা রানাউতের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট। অভিযোগ, অভিনেত্রীর করা কয়েকটি পোস্ট মাইক্রো ব্লগিং সাইট সংস্থার নীতি লঙ্ঘন করেছে। বলি অভিনেত্রীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড নিয়ে মুখ খুললেন দুই টলি অভিনেত্রী। মিমি চক্রবর্তী ও সায়নী ঘোষ।


পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্য় করেন কঙ্গনা বলে অভিযোগ। এমনকী, ভোট-পরবর্তী হিংসার জন্যও মমতার তীব্র সমালোচনা করেন বলিউড অভিনেত্রী। পরের পর ট্যুইট করে বেনজির আক্রমণ করেন তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কোনওটায় বাংলাকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেন। আবার কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'রাবণ' বলে কটাক্ষ করেন অভিনেত্রী।


কঙ্গনার ট্যুইটার অ্যাকাউন্স সাসপেন্ড হওয়ার পর নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন মিমি চক্রবর্তী। কঙ্গনার ট্যুইটটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ডের খবরটি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দিয়ে তিনি লেখেন, 'সম্প্রতি ট্যুইটারের নেওয়া সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত এটি।' পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। সেই দলেরই সাংসদ মিমি। নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ে খুশি তিনি। নির্বাচনের আগে নিজেও দলের হয়ে প্রচার করেছেন অনেক। পায়ে আঘাতও পান তিনি। অবশেষে জয়। পরিশ্রমের সাফল্যে খুশি সাংসদ।




অন্যদিকে আসানসোল দক্ষিণের প্রার্থী হয়েছিলেন সায়নী ঘোষ। বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। তবে তাতে ভাটা পড়েনি দলের প্রতি সায়নীর ভালোবাসায়। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের ছবি ট্যুইট করে তিনি লেখেন, 'দিদি ও দিদি'। এর আগেও নির্বাচনের ফলাফলের দিন দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন তিনি। কঙ্গনা রানাউতের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার পর ট্যুইটারে তিনি লেখেন, 'বাংলা বিজেপিকে পরিত্যাগ করেছে। আর ট্যুইটার কঙ্গনাকে সাসপেন্ড করেছে। এক এক করে সমস্ত আবর্জনা সাফ করে ফেলা হল।'




মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের জয়লাভ ঘোষণা হওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট করেছিলেন কঙ্গনা। কিন্তু সেই ট্যুইটেও ছিল তীব্র খোঁচা। একটি ট্যুইট করে কঙ্গনা লেখেন, ২০১৯-এ লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বাঘিনীর মতই লড়াই করেছেন এই বিধানসভা নির্বাচনে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামতে দেয়নি। সিএএ, এনআরসিকে আটকেছেন। মোদিকে খেলায় আহ্বান করেছেন। একেবারে খোলাখুলি শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছেন, তাঁদের ভোটার কার্ড দিয়েছেন। গণতন্ত্র এখানে রসিকতা। তবু আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্যালুট জানাচ্ছি। কারণ যদি ভিলেন হতেই হয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো হন। রাবণের মত লড়াই করুন। রাহুল গাঁধীর মত গোগো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ী হওয়াই উচিত।'