কলকাতা: কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut) বলছেন ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেলে তিনি লোকসভা ভোটে লড়বেন। তাঁর এই স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা, তা সময়ই বলবে। তবে এখন কঙ্গনার বক্স অফিসের (Boxoffice) অঙ্কে শুধুই স্বপ্নভঙ্গের ছবি। কঙ্গনার তেজসের উড়ান শুধু ব্যর্থ নয়, বরং বলা যায় টেক অফই করতে পারেনি ছবিটি। একের পর এক ছবিতে ধারাবাহিক ব্যর্থতার ভার বয়েই চলেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত।


২৭ অক্টোবর মুক্তির পর প্রথম থেকেই ধাক্কা খেয়েছে তেজস (Tejas)। সাফল্য তো দূরস্থান, কঙ্গনার তেজস উড়ানের আগেই দাঁড়িয়ে পড়েছে রানওয়েতে। দর্শকেরা বলছেন, কঙ্গনার এই ছবিতে জ্বালানি নেই। তাই আকাশে উড়তে পারেনি তেজস। 


ভারতে প্রায় ২০০০ স্ক্রিনে তেজস মুক্তি পায়। প্রায় ৬০ কোটি টাকা বাজেটে তৈরি তেজস এক সপ্তাহে সাকুল্যে প্রায়  ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছে। ২৭ অক্টোবর ওপেনিং ডে-তে তেজস ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছে।


আরও পড়ুন...


'ডাঙ্কি'র আরও চারটি টিজার ছাড়পত্র পেল সেন্সরবোর্ডের, তিনটি টিজার পেল U/A সার্টিফিকেট


প্রথম উইকএন্ডের রবিবারের পর তেজস দেশ জুড়ে কোনও দিনই ৫০ লক্ষ টাকার অঙ্কও পার করতে পারেনি। মুম্বই, সুরাট, বিহার থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই তেজসের শো মুখ থুবড়ে পড়েছে। সুরাটে তেজসের মুক্তির পর একটি  মাল্টিপ্লেক্সের ১৫টি শো দর্শকের অভাবে বাতিল করতে হয়েছে। একই ছবি
দেখা গিয়েছে মুম্বই এবং বিহারের নানা অংশে। 


এক একটি শোয়ে ১০ জনেরও কম দর্শক থাকায় বহু জায়াগায় বাতিল হয়েছে তেজসের স্ক্রিনিং। সূত্রের খবর, একটিও টিকিট বিক্রি হয়নি এমন নজিরও দেখা গিয়েছে তেজসের ক্ষেত্রে। মুক্তির এক সপ্তাহ বাদে ৩ নভেম্বর কলকাতায় তেজসের মাত্র পাঁচটি শোয়ে মোট ৪৬টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। সারা দেশের নিরিখে ৩ নভেম্বর মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে সকালের শোয়ে দর্শক সংখ্যা ছিল প্রায় ৪. ৯৮% কিন্তু দুপুর, সন্ধে এবং রাতের শোয়ে দর্শক সংখ্যা প্রায় শূন্য।


কঙ্গনা রানাওয়াতের ফিল্মোগ্রাফিতে ব্যর্থতার তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে,  ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া 'তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস'-এরপর একমাত্র 'মণিকর্নিকা' ছাড়া কঙ্গনার আর কোনও ছবি বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখেনি। আনন্দ এল রাই পরিচালিত ৩৯ কোটি টাকা বাজেটের ছবিটি বক্স অফিসে প্রায় ২৫৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল।


এরপর তেজসেরও ভরাডুবি হল বক্স অফিসে। ৬০ কোটি টাকার তেজসের প্রথম সপ্তাহে ব্যবসার অঙ্ক ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দেখে চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন কঙ্গনার অবস্থা। অক্ষয় কুমারের থেকেও খারাপ। ঠাট্টার সুরে কেউ কেউ বলছেন 'রং দে তু মোহে গেরুয়া' গাইলেও 'বেশরম রং' সকলের জন্য নয়।


আগামীতে কঙ্গনা রানাওয়াতের আরও একটি ছবি ইমার্জেন্সি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সেই ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্যের আলো দেখবে কিনা, তা সময়ই বলবে।