মুম্বই: বক্স অফিসে পর পর ব্যর্থতা। ইন্ডাস্ট্রিতেও কোণঠাসা অবস্থা। সাংসদ হয়েও বিতর্কের শেষ নেই। সেই অবস্থায় আরও বিপাকে পড়লেন অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। এবার বাড়ি বিক্রি করে দিতে হল তাঁকে। কঙ্গনা অভিনীত 'Emergency'র মুক্তি আটকে গিয়েছে। আর্থিক টানাপোড়েনের জেরেই তাঁকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল বলে খবর মিলছে। (Kangana Ranaut)
মুম্বইয়ের বান্দ্রার পালি হিল এলাকায় কঙ্গনার একটি বাংলো ছিল। ২০১৭ সালে ২০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকায় সেটি কেনেন নায়িকা। বিক্রি করে দিলেন ৩২ কোটি টাকায়। ছবির মুক্তি আটকে যাওয়ায়, একরকম বাধ্য হয়েই বাংলোটি তাঁকে বিক্রি করে দিতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন কঙ্গনা। (Bollywood Updates)
কঙ্গনা জানিয়েছেন, 'Emetgency' ছবির জন্য নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাজি রাখেন তিনি। ছবিটি সিনেমাঘরে চলে আসার কথা ছিল এতদিনে। কিন্তু ছবি মুক্তি পাচ্ছে না আপাতত। তাই কঠিন সময়ে সম্পত্তি বিক্রিই ভরসা। 'Emergency' একটি রাজনীতি নির্ভর ছবি। কঙ্গনা নিজে সহ প্রযোজক। বার বার ছবিটির মুক্তি ধাক্কা খেয়েছে।
শেষ পর্যন্ত গত ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবিটির। কিন্তু সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন ছবিটিতে ছাড়পত্র দেয়নি। শাসকদলের সাংসদ হয়েও ছবিটির মুক্তি নিয়ে গেরোয় পড়েছেন কঙ্গনা। সেন্সর বোর্ডকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি। OTT প্ল্যাটফর্মে যে সব জিনিস দেখানো হয়, সেগুলি কোন যুক্তিতে ছাড়পত্র পায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সেন্সর বোর্ডের সমালোচনা করে কঙ্গনা বলেন, "আজ প্রযুক্তি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যেখানে সেন্সর বোর্ড অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। সংসদেও বিষয়টি তুলেছিলাম আমি। ভাবনা-চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে। আমার মনে হয়, OTT প্ল্যাটফর্মগুলিকে সেন্সর করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। OTT, YouTube-এ যা দেখানো হচ্ছে, বাচ্চারা না দেখে ফেলে, ভয় হয়। টাকা ফেললেই সব দেখা যায় ওখানে। অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে অনেক তর্ক করতে হয়। রক্ত কেন দেখানো হয়েছে এবং আরও অনেক কিছু। কত দৃশ্য ছেঁটে ফেলতে বলা হয়।"
গোড়া থেকেই 'Emergency' ছবিটি নিয়ে বিতর্ক। একাধিক শিখ সংগঠন ছবিটির মুক্তি নিয়ে আপত্তি তুলেছে। এমনকি দাবি তোলা হয়েছে ছবিটি নিষিদ্ধ করারও। শিখদের ছবিতে খারাপ ভাবে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ইন্ডাস্ট্রির কেউ এ ব্যাপারে তাঁর পাশে দাঁড়াননি বলে দাবি কঙ্গনার।