মুম্বই: কঙ্গনা রানাউত, তাঁর বোন রঙ্গোলি চান্ডেলকে ১০ নভেম্বর হাজিরা দিতে বলে দ্বিতীয় নোটিস পাঠাল মুম্বই পুলিশ। আপত্তিকর মন্তব্যের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ, শত্রুতা ছড়ানোর অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় ফের নোটিস দিল পুলিশ। এ ব্যাপারে দুজনকে তাঁদের বক্তব্য নথিভুক্ত করানোর জন্য ২৬ ও ২৭ অক্টোবর হাজিরা দিতে বলে ২১ অক্টোবর তলব পাঠিয়েছিল বান্দ্রা পুলিশ। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবর, কঙ্গনা, তাঁর বোনকে আমরা নোটিস পাঠিয়েছি ওঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের ব্যাপারে পুলিশের সামনে হাজিরা দেওয়ার জন্য। ওঁদের সোমবার মঙ্গলবার উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি থানায় জবাব পাঠিয়ে বলেন,দুই বোন হিমাচল প্রদেশে নিজেদের শহরে তাঁদের ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তুতির ব্যাপারে ব্যস্ত থাকার কারণে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত আদালতে হাজিরা দেওয়ার ব্যাপারে সময় চেয়েছেন।
বান্দ্রার মেট্রপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট জে ওয়াই ঘুলে বলিউডের কাস্টিং ডিরেক্টর তথা ফিটনেস ট্রেনার মুনাবরওয়ারালি সাহিল সঈদের দায়ের করা অভিযোগ ধর্তব্যের মধ্যে আনার পর বম্বে হাইকোর্ট কঙ্গনা ও রঙ্গোলিকে অভিযুক্ত করতে নির্দেশ দেয়। সঈদের অভিযোগনামায় কঙ্গনা ও তাঁর বোনের সোস্যাল মিডিয়া পোস্টের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তাঁরা অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করেছেন, যা শুধুমাত্র তাঁর ধর্মীয় আবেগকেই আঘাত করেনি, বলিউডের অন্য শিল্পীদের কাছেও অপমানজনক। কঙ্গনা, তাঁর বোন গত ২ মাস ধরে ট্যুইট, সাক্ষাত্কারে বলিউডকে ‘স্বজনপোষণ’, ‘পক্ষপাতিত্বের ঘাঁটি’ তকমা দিয়ে তাকে কালিমালিপ্ত করে চলেছেন। দুই বোন সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়াচ্ছেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সম্পর্কে ট্যুইটে, সাক্ষাত্কারে অপমানজনক ভাষা প্রয়োগ, মন্তব্য করছেন বলেও অভিযোগ করেন সঈদ।
কঙ্গনা, তাঁর বোনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ (ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো), ২৯৫ এ (জেনেশুনে ধর্মীয় আবেগে আঘাত করার মতো কাজ করা),১২৪ এ (রাষ্ট্রদ্রোহিতা) ও ৩৪ ধারায়।