নয়াদিল্লি: দাম্পত্য শেষ হয়েছিল তিক্ততায়। কিন্তু শেষ দিকে কি বরফ গলেছিল? ব্যবসায়ী সঞ্জয় কপূরের মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তি নিয়ে টানাপোড়েন চলছে এই মুহূর্তে। আর সেই আবহেই সঞ্জয় এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী, বলিউড অভিনেত্রী করিশ্মা কপূরের সমীকরণ নিয়ে নয়া তথ্য সামনে এল। জানা গিয়েছে, করিশ্মার সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো সঞ্জয়ের। মেয়ে সামাইরা, ছেলে কিয়ান এবং করিশ্মাকে তিনি অন্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্তও করছিলেন। (Karisma Kapoor)
ব্যবসায়ী সঞ্জয়ের সঙ্গে অনেক আগেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল করিশ্মার। কিন্তু সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর তিক্ততা ভুলে দিল্লি ছুটে যান নায়িকা। সঞ্জয়ের শেষকৃত্য থেকে স্মরণসভা, সর্বত্রই উপস্থিত ছিলেন তিনি। কিন্তু সঞ্জয়ের ৩০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে এই মুহূর্তে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন করিশ্মা। দলিল জাল করে সঞ্জয়ের তৃতীয় স্ত্রী প্রিয়া সচদেব সমস্ত হাতিয়ে নিতে চাইছেন, আগের পক্ষের দুই ছেলেমেয়েকে বঞ্চিত করতে চাইছেন বলে অভিযোগ। সঞ্জয়ের মা, রানি কপূরও প্রিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। (Sunjay Kapur)
সামাইরা এবং কিয়ানের মা হিসেবে এই মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন করিশ্মাও। আর সেই সূত্রেই আদালতে সঞ্জয় এবং করিশ্মার হোয়াটসঅ্যাপের কিছু কথোপকথন জমা পড়েছে, যা দেখে বোঝা যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে শুধু কথাবার্তাই চালু ছিল না, প্রাক্তন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছিলেন সঞ্জয়। তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন অনুযায়ী, করিশ্মাকে ভারতের নাগরিকত্ব ছাড়ার কথা বলছিলেন ব্যবসায়ী। মেসেজে সঞ্জয় জানান, দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে পর্তুগালের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে হবে করিশ্মাকে। সেই মতো সঞ্জয়ই সব ব্য়বস্থা করছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
আদালতে যে নথিপত্র জমা পড়েছে, সেই অনুযায়ী, করিশ্মার সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো সঞ্জয়ের। ব্যক্তিগত আলোচনা করতেন তাঁরা। সঞ্জয় করিশ্মাকে বলেন, “ভারতে দ্বৈত নাগরিকত্ব চলে না।” ওই কথোপকথন-সহ যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখছে দিল্লি হাইকোর্ট। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কিছু জানাননি করিশ্মা বা তাঁর পরিবারের কেউ।
এর আগে, বুধবার শুনানি চলাকালীন আদালতে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। সামাইরা ও কিয়ানের অভিভাবক হিসেবে আদালতে করিশ্মার তরফে আইনজীবী পাঠানো হয়। সেখানে করিশ্মাকে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রিয়া। তাঁর বক্তব্য় ছিল, “আপনার স্বামী অনেক আগেই আপনাকে ত্যাগ করেছেন।” অন্য দিকে, সামাইরা জানান, বাবা কখনও কোনও দলিলের কথা জানাননি তাঁকে। বাবা বেঁচে থাকাকালীন প্রিয়ার মুখেও দলিলের কথা শোনেননি। এখন যেটা দেখানো হচ্ছে, তা জাল।