কলকাতা: আজ তাঁর জন্মদিন। ৬০ বছরে পা দিলেন অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায় (Khoraj Mukherjee)। পুরোদমে কাজ করে চলেছেন অভিনেতা। আজ তাঁর জন্মদিনে, জেনে নেওয়া যাক, অভিনেতাকে নিয়ে কিছু অজানা গল্প। 


ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা.. সব মাধ্যমেই অভিনয় করে মন জয় করেছেন খরাজ। তবে প্রথম জীবনে অভিনয় নয়, পেশা হিসেবে চাকরিই করতেন খরাজ। তাঁর বাবা কখনও চাননি, অভিনেতার সঙ্গে যুক্ত হন খরাজ। তবে বিয়ের পরে, নিজের মনেই ইচ্ছেকেই প্রাধান্য দিয়ে অভিনয়ে যোগ দেন খরাজ। চিনিয়ে দেন তাঁর জাত। কমেডি থেকে শুরু করে নেতিবাচক চরিত্র, সব চরিত্রেই দূরন্ত অভিনয় করে বারে বারে দর্শকদের মন জয় করেছেন খরাজ। 


খরাজ এবিপি লাইভকে (ABP Live)-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একাধিকবার বলেছেন, তাঁর জীবনে তাঁর স্ত্রীয়ের প্রভাব খুব বেশি। খরাজের স্ত্রী, প্রতিভা মুখোপাধ্যায় (Pratibha Mukherjee) একটা সময় কড়া হাতে সংসার সামলেছেন, সেসময়ে তাঁদের সংসারে ছিল টানাটানি। এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, একটি ঘটনার কথা তুলে ধরেছিলেন খরাজ। 


খরাজের কথায়, 'যখন চাকরি করতাম, আমার স্ত্রী রোজ আমার হাতে ১০ টাকা করে দিতেন। টিফিনের জন্য। একদিন হঠাৎ আমায় বলল, 'তুমি অফিস যেও না।' কারণ বুঝলাম না, স্ত্রীর জেদেই থেকে গেলাম। পরের দিন অফিস যাব, যথারীতি আমার হাতে ১০ টাকা দিলেন স্ত্রী। বললেন, 'গতকাল আমার কাছে টাকা ছিল না, তুমি অফিস গেলে কী দিতাম হাতে! আজ শেষদিন, তুমি মাইনে আনবে। তাই শেষ দশ টাকাটা দিয়ে দিলাম।' এভাবেই সবদিক সামলেছে ও।'


আজ দিনটা বাড়িতেই খাওয়া দাওয়ার আয়োজন হয়েছিল খরাজের। লুচি, সাদা আলুর তরকারি, মিষ্টি ও পায়েস ছিল জন্মদিনের মেনুতে ছিল খরাজের। তাঁর জন্য এসেছিল ফুলের বোকেও। কেক কেটে নয়, একেবারে বাঙালি আয়োজনে জন্মদিন পালন করেছেন তিনি। এর মধ্যে একটি ছবিতে দেখা গেল, তাঁর গালে চুম্বন এঁকে দিচ্ছেন স্ত্রী।


খরাজের ছোটবেলার অনেকটা অংশ কেটেছে গ্রামের বাড়িতে। সেখানে সঙ্গীদের দিয়ে মজায় সময় কাটিয়েছেন তিনি। সেইসময়ের কিছু ঘটনাও সাক্ষাৎকারে এবিপি লাইভের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছিলেন খরাজ। গ্রামের বাড়িতে বিভিন্ন পুজোর আয়োজন হত। দোল পূর্ণিমার দিন বাড়িতে রাধা-কৃষ্ণের পূজো হত বাড়িতে। নিজেই পুজো করতেন খরাজের বাবা। সেইদিনকার বিশেষ আকর্ষণ ছিল খাওয়া-দাওয়া। সেই স্মৃতি রোমন্থন করে খরাজ সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, দোলের দিন বাড়িতে অনেকরকম রান্না হত। লুচি, পায়েস, মিষ্টি, পোলাও আরও কত কী.. পুজোর ভোগ হত। একবার সেই ভোগ রান্নার জল থেকে রঙ গোলার জল নিতে গিয়ে কেলেঙ্কারি করেছিলাম। হাতের নীল রঙ ভোগের জলে মিশে গিয়েছিল। আমাদের পুরোহিত মশাই যথেষ্ট স্নেহ করতেন আমাদের, শাসনও। মনে আছে খুব বকুনি দিয়েছিলেন সেদিন। দু একটা চাঁটিও মেরেছিলেন বোধহয়।'


আরও পড়ুন: Vicky-Katrina: 'ক্রাশকে বিয়ে করার উপায় বলো প্লিজ', ভিক্যাটের ছবি দেখে মন্তব্য় এক অনুরাগীর!


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial