কলকাতা: দশকের পর দশক পেরিয়েও যাঁর গানে মুগ্ধ হয়েছেন শ্রোতা.. যাঁর অভিনয়ও মন ছুঁয়েছে দর্শকদের, তিনি কিশোর কুমার (Kishor Kumar)। আজ এই কিংবদন্তির জন্মদিন। সাধারণত খুব সহজে সাক্ষাৎকার দিতে নাকি রাজি হতেন না তিনি। তবে একবার লতা মঙ্গেশকরকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন কিশোর কুমার। জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক, সেই সাক্ষাৎকারের টুকরো টুকরো ছবি।


তাঁর গান মন ছুঁয়েছে হাজার হাজার মানুষের। লতা মঙ্গেশকরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, 'আমি গানকে সবসময় অভিনয়ের আগে প্রাধান্য দিই। কারণ, গান মন থেকে আসে। আর যা মন থেকে আসে, সেটাই মন ছুঁয়ে যায় মানুষের। তবে অভিনয় অর্থাৎ গোটা বিষয়টাই মিথ্যে। আমি সেই কারণে অভিনয় করতে চাইনি। তবে দাদা আমায় অভিনয়ে নিয়ে আসেন। আমি মানসিকভাবে সবসময় গানকেই অভিনয়ের থেকে বেশি প্রাধান্য দিই, দেবও।'


কিংবদন্তী এই সঙ্গীতশিল্পী জন্মগ্রহণ করেন ৪ অগাস্ট, ১৯২৯ সালে, মধ্যপ্রদেশের খণ্ডওয়ায়। বাঙালি বাড়িতে জন্ম। কর্মজীবন শুরু করে দাদা অশোক কুমারের মতোই অভিনেতা হিসেবে। ১৯৪৬ সালে তাঁর প্রথম ছবি 'শিকারি' মুক্তি পায়। শুরু করলেও বিশেষ মন মজেনি অভিনয়ে। এরপরেও কিছু ছবিতে কাজ করলেও ১৯৪৮ সালে 'জিদ্দি' ছবির হাত ধরে প্রথম সঙ্গীত জগতের পথচলা শুরু। এরপর ধীরে ধীরে গায়ক (Singer), গীতিকার (Lyricist), সঙ্গীত পরিচালক (Music Director) হিসেবেই কেরিয়ারে এগিয়ে চলেন তিনি। গান তৈরি করেছেন ও গেয়েছেন হিন্দি, বাংলা, তামিল প্রভৃতি ভাষায়। এছাড়াও একাধিক আঞ্চলিক ভাষা তিনি শিখেছিলেন যেমন মরাঠি, গুজরাতি, অসমীয়া, মালয়লম, ওড়িয়া ও কন্নড়। 


কিশোর কুমার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রাজেশ খন্নার জন্য। তাছাড়াও তিনি জিতেন্দ্র, দেব আনন্দ, অমিতাভ বচ্চনের মতো তাবড় তারকাদের কণ্ঠেও গান গেয়েছেন। কিশোর কুমারের প্রতিভার কথা বলতে শুরু করলে শেষ করা যাবে না। তারই মধ্যে অন্যতম, তিনি পুরুষ এবং নারী, উভয় কণ্ঠেই অত্যন্ত সাবলীলভাবে গান গাইতে পারেন। তাঁকে প্রথম মহিলা কণ্ঠে গাইতে শোনা যায় 'আকে সিধি লগি দিল পে...' গানে। 


আরও পড়ুন: Govinda Twitter Hack: ট্যুইট ভাইরাল হয়ে ট্রোলড, 'অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে', দাবি গোবিন্দর