ক্রিনিদাদ: ওয়েস্ট ইন্ডিজের (India vs West Indies) বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে (T20 Match) হারতে হয়েছে ভারতকে। ৪ রানে ম্যাচ জিতে যায় ক্যারিবিয়ানরা। ওয়ান ডে সিরিজ জয়ের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নেমেছিল তরুণ ভারতীয় দল। হার্দিক পাণ্ড্যর নেতৃত্বে খেলতে নেমেছিল ভারতীয় দল। কিন্তু ব্যাটিং ভরাডুবির জন্যই ম্যাচ হারতে হয় ভারতীয় দলকে। মিডল অর্ডারে কেউই ক্রিটে সেট হয়ে দলকে ভরসা জোগাতে পারেননি। আর সেটাই মূল কারণ হিসেবে মানছেন দলের তরুণ পেসার অর্শদীপ সিংহও। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসে পঞ্জাবের তরুণ বলেন, ''আমার মনে হয় আমাদের একজন স্পেশালিস্ট ব্যাটার প্রয়োজন ছিল যে ক্রিজে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারবে।'' তিনি আরও বলেন, ''আমরা এই নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের প্রথম ইনিংসে যতটা ভাল করতে পারতাম, তা পারিনি পরবর্তীতে। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।''


১৯ তম ওভারে ব্যাট করতে এসে দুটো বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন অর্শদীপ। কিন্তু তাতেও ম্য়াচ জেতাতে পারেননি তিনি। তরুণ পেসার বলছেন, ''এরকম পরিস্থিতিতে যে কোনও ক্রিকেটার চায় যে নিজের সেরাটা দিতে। কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে মেলে ধরতে হয়।''


উল্লেখ্য়, প্রথম ওয়ান টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য ভারতের সামনে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মুখ থুবড়ে পড়ল টিম ইন্ডিয়া। চার রানে পরাজিত হল টিম ইন্ডিয়া। ১৪৫/৯ শেষ হয়ে গেল ভারতের লড়াই।


১৫০ রান তাড়া করতে নেমে ভারতীয় দলের শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি। ভারতের দুই ওপেনার শুভমন গিল এবং ঈশান কিষাণ একেবারেই মন্থর গতিতে ব্যাটিং করা শুরু করে। রানের গতি বাড়াতে গিয়েই আকিল হোসেনের বলে তিন রানে স্টাম্প আউট হন শুভমন গিল। আরেক ওপেনার ঈশানও মাত্র ছয় রানে সাজঘরে ফেরেন। ২৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। সেই পরিস্থিতি থেকে ভারতের হয়ে পাল্টা লড়াই শুরু করেন সূর্যকুমার যাদব ও এই ম্যাচেই নিজের অভিষেক ঘটানো তিলক ভার্মা। ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু করেন তিলক। সপ্তম ওভারে ৫০ রানে গণ্ডি পার করে ভারত।


তৃতীয় উইকেটে সূর্যকুমার ও তিলক ভারতকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ২১ রানে সূর্যকে আউট করে সেই পার্টনারশিপ ভাঙেন জেসন হোল্ডার। ম্যাচের ১১তম ওভারে তিলকও ২২ বলে ৩৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। তবে তখনও ক্রিজে হার্দিক পাণ্ড্য, সঞ্জু স্যামসনের মতো ব্যাটাররা ছিলেন। তাই ভারত জয়ের আশায় ছিল। ১৫তম ওভারে শতরানের গণ্ডিও পার করে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। তবে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় ১৬তম ওভারে। প্রথমে ১৯ রানে হার্দিককে সাজঘরে ফেরান হোল্ডার। পরে একই ওভারে ১২ রানে রান আউট হন স্যামসন।


অক্ষর পটেল ভারতের হয়ে খানিকটা লড়াই  করেন। ১১ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অর্শদীপ সিংহও সাত বলে ১২ রান করেন। তবে নিরন্তর উইকেট হারিয়ে ভারত আর জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে নির্ধারিত চার ওভারে ১৯ রান খরচ করে দুই উইকেট নেওয়া হোল্ডারই সফলতম বোলার। তাঁকেই ম্যাচ সেরাও ঘোষণা করা হয়।