কলকাতা: ছোটবেলায়, যখন থেকে গান বুঝতেনও না, সেই থেকেই যেন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছিলেন কিশোর কুমার। তাঁর গান শুনতে শুনতেই বড় হওয়া, গান শেখা, গানে ভাসা। বর্তমানে নিজেই আধুনিক বাংলা গানের জগতে ছকভাঙা গায়ক হিসাবে পরিচিত তিনি। তবুও প্রতি মুহূর্তেই যেন অনুপম রায়কে গানের সুরে পথ দেখান কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী।
কোনও গানে মন খারাপ হয়, আবার কোনও গানে থাকে খুশির রেশ। কিশোর কুমারের গান অনায়াসেই মন বদলে দিতে পারে অনুপমের। সঙ্গীতশিল্পী বলছেন, 'হিন্দি এবং বাংলা, দুই ভাষাতেই কি সাবলীল আর অনায়াস যাতায়াত ছিল তাঁর। কিশোর কুমারের মত কিংবদন্তি সম্পর্কে কিছু বলা খুব কঠিন। অথচ ওনাকে ঘিরে, ওনার গানকে ঘিরে কত অনুভূতি রয়েছে। আমার কেবল ওনার গাওয়া গান নয়, ওনার কম্পোজিশন শুনতেও ভালো লাগে। বহু গান আছে যেগুলো শুনে গাইতে ইচ্ছা করে। কিশোর কুমারের গান যে কোনও সঙ্গীতশিল্পীর কাছেই পাথেয় হয়েছে জীবনের কোনও না কোনও সময়ে।'
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অনুপম রায়ের গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত, 'বনে যদি ফুটল কুসুম'। লকডাউনের সময় বাড়িতেই শ্যুটিং, বাড়িতেই রেকর্ডিং। কিন্তু নিজের গান ছেড়ে, ছক ভেঙে রবীন্দ্রসঙ্গীতকে কেন বাছলেন শিল্পী? অনুপম বলছেন, 'আমার গাওয়া প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে। সত্যিই ওই গানটা গাইতে বেশ সাহস সঞ্চার করতে হয়েছিল। আর প্রথমবার বলেই বোধহয় ওই গানটা বেছেছিলাম। কিন্তু গানটা রেকর্ড করার পর সবার প্রশংসা পাই। সেই সাহস নিয়েই বনে যদি ফুটল কুসুম গানটা রেকর্ড করে ফেললাম।'
লকডাউন কেটে ধীরে ধীরে কাজ শুরু হচ্ছে। সম্প্রতি একটি নতুন গান রেকর্ড করেছেন অনুপমের স্ত্রী পিয়া। অনুপমের হাতেও রয়েছে একাধিক কাজ। তবে এখনও শুরু হয়নি ছবির গান রেকর্ডিং। অনুপম বললেন, 'বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে নতুন গান নিয়ে। সব ঠিক হলে অবশ্যই জানাব।'