মুম্বই: যেভাবে তাঁর সুরের জাদুতে আচ্ছ্ন্ন থাকেন সঙ্গীতপ্রেমীরা, আজ তাঁর প্রয়াণে ততটাই শোকে আচ্ছন্ন অনুরাগীরা। কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) অনুরাগী শুধু সাধারণ মানুষই নন, তাঁর অনুরাগী তো অন্যান্য তাবড় তারকারাও। বিরানব্বই বছর বয়সে পরলোকগমন করলেন সুর সম্রাজ্ঞী (Lata Mangeshkar Passes Away)। তাঁর প্রয়াণে নিজেতে 'বিধ্বস্ত' অনুভব করেন আর এক জনপ্রিয় গায়িকা অলকা ইয়াগনিক (Alka Yagnik)।
এদিন সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অলকা ইয়াগনিক বলেন, 'এই মুহূর্তে আমি দেশের বাইরে রয়েছি। এতটাই বিধ্বস্ত অনুভব করছি যে, এই মুহূর্তে কোনওরকম কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। এটা আমার কাছে নিজস্ব ক্ষতি। প্রার্থনা করি, প্রিয় দিদি যেখানে গেলেন শান্তিতে থাকুন। যতদিন বাঁচব, ততদিন ওঁর কণ্ঠস্বর, ওঁর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোকে আঁকড়ে ধরে বাঁচব।'
গত ৮ জানুয়ারি করোনা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। ২৭ দিন ধরে তিনি মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। আজ সকালে জীবনাবসান হয় সুর সম্রাজ্ঞীর। করোনার সঙ্গে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন গায়িকা। চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছিল তাঁর। বের করা হয়েছিল ভেন্টিলেশন থেকেও। তবে ফের তাঁর ফের স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আইসিইউ-তে। গতকাল রাত থেকেই শারিরীক অবস্থার অবনতি হয়েছিল তাঁর। গতকাল লতা মঙ্গেশকরের স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর পাওয়ার পরই দিদিকে দেখতে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গিয়েছিলেন বোন আশা ভোঁসলে। আশা ভোঁসলে ছাড়াও, চলচ্চিত্র নির্মাতা মধুর ভান্ডারকর, সুপ্রিয়া সুলে এবং রশ্মি ঠাকরেকেও লতা মঙ্গেশকরকে দেখতে হাসপাতালে যান। এর আগে, এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরেও হাসপাতালে লতা মঙ্গেশকরকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। লতাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। লতাকে দেখতে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গেলেন মধুর ভান্ডারকর।