মুম্বই: শুরুটা ঠিক রূপকথার গল্পের মতো। ঠিক যেন সোনার কাঠির ছোঁয়ায় পাল্টে গেল রানাঘাটের রাণু মণ্ডলের জীবন। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তাঁর গান পৌঁছে গেল বলিউডের অলিন্দেও। গান গেয়ে, ভিক্ষে করে পেট চলত যে মানুষটার, তাঁর গলা চমকে দিয়েছিল অনেককেই। তারপরই তাঁকে ঘিরে নানারকম মুখরোচক কথা উঠে আসছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। হিমেশের সঙ্গে গান গাওয়ার বিষয়টা সত্যি হলেও, আরও এমন অনেক গল্পই রাণুকে নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে ইন্টারনেটে, যার অনেকটাই অসত্য! যেমন, রাণুকে নাকি বিশাল দামী ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন সলমন, বলেছেন 'দাবাং থ্রি'-তে প্লে ব্যাক করার কথাও। তবে সে-সব যে নিছক রটনা, জানিয়েছেন অপ্রস্তুত সলমন।
বারবার রাণুর সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের তুলনা টানা হয়েছে। তবে তাতে যে মহান গায়িকাও খুব একটা খুশি নন, বোঝা গেছে এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া তাঁর প্রতিক্রিয়াতে। সরাসরি রাণুর কথা না বললেও, লতাজীর অভিমত, অনুকরণ করে দীর্ঘস্থায়ী সাফল্য পাওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, কিশোর কুমার, মুকেশ কিংবা মহম্মদ রফির সঙ্গে তাঁর গাওয়া গান গেয়ে অল্প সময়ের জন্যই জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায়। তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য সাফল্য পেতে গেলে নিজের গান থাকা দরকার।
টিভি শো-এ বহুসময়ই অনেক নতুন প্রতিভাকে তাঁর গান গেয়ে তারিফ পেতে দেখা যায়। কিন্তু তাদের মধ্যে কতজন পরবর্তীকালে খ্যাতি পায়? 'আমার তো শুধু সুনিধি চহ্বান ও শ্রেয়া ঘোষালের কথা মনে পড়ছে।', বললেন ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকর।
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে লতাজী বলেন, 'এ-ব্যাপারে কথা বলতে গেলে, আশা ভোঁসলের কথা বলতেই হয়। ওঁকে নিজের ভঙ্গিতে গান গাইতে জোর না করা হলে, ও আমার ছায়া হয়েই থেকে যেত। নিজস্বতা একটা মানুষকে কীভাবে বহুদূরে নিয়ে যেতে পারে, আশাই তার সবথেকে বড় প্রমাণ।'