নয়াদিল্লি: আর্থিক তছরুপ মামলায় (Extortion Case) এবার অভিযুক্ত অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ (Jacqueline Fernandez)। ২০০ কোটি টাকার তছরুপের ঘটনায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrasekhar) সঙ্গে অভিযুক্ত অভিনেত্রীও। দিল্লির একটি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। চার্জশিটে রয়েছে তাঁর নাম। এই মামলার জন্য যদিও একাধিকবার ইডি অফিসে হাজিরা দিয়েছেন অভিনেত্রী, তবে এই প্রথম অভিযুক্ত হিসেবে নাম জড়াল তাঁর। এই প্রসঙ্গে তাঁর আইনজীবী একটি বিবৃতি (statement issued) জারি করেছেন।
জ্যাকলিনের আইনজীবীর বক্তব্য
অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে, তাঁর আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল একটি প্রকাশ্য বিবৃতি জারি করেছেন। সেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা রয়েছে যে জ্যাকলিন এখনও অভিযোগের কোনও অফিসিয়াল কপি পাননি। তিনি বলেন, 'ইডি যে অভিযোগ ফাইল করেছেন সেই ব্যাপারে তথ্য আমরা কেবল মিডিয়ার মাধ্যমেই পেয়েছি। আদালত বা ইডি, কারও তরফেই কোনও অফিসিয়াল যোগাযোগ করা হয়নি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের করা কোনও অভিযোগের অফিসিয়াল কপি পাননি আমার মক্কেল। তবে যদি মিডিয়ার রিপোর্ট সত্য হয়, তাহলে এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমার মক্কেলকে উক্ত মামলায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে।'
জ্যাকলিনের পক্ষে তাঁর আইনজীবী জানান যে, তদন্তের শুরু থেকেই অভিনেত্রী যথেষ্ট সহযোগিতার করছেন। তাঁকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের শিকার করা হচ্ছে। তাঁর বিবৃতিতে বলা হয়, 'তর্কের খাতিরে প্রসিকিউশনের পুরো মামলাটিকে সত্য বলে ধরে নিলেও, তারপরও, আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা কার্যকর অন্য কোনও আইনের আওতায় জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে কোনও মামলা করা হয়নি। আমার মক্কেল তাঁর মর্যাদা ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আইনের অধীনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।'
জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
চেন্নাই নিবাসী সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দিল্লির এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক বছরে তাঁর থেকে ২০০ কোটি টাকা প্রতারণা করেছে সুকেশ চন্দ্রশেখর। সেই মামলাতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। গত ৩০ অগাস্ট ইডির দফতরে প্রায় ৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল জ্যাকলিনকে। জ্যাকলিনের সঙ্গে কথা বলে ইডি-র হাতে আসে বহু জরুরি তথ্য । এর পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় এক বিবৃতিতে অভিনেত্রীর মুখপাত্র বলেন, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজনকে সাক্ষী হিসেবে ডাকছে ইডি। তিনি এর আগে বিবৃতি রেকর্ড করেছেন।
সুকেশ চন্দ্রশেখরকে ২০০ কোটি টাকার প্রতারণায় গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, এই ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার বহুমূল্য উপহার পেয়েছিলেন জ্যাকলিন। ইতিমধ্যেই জানা যায়, আর্থিক প্রতারণার টাকা থেকেই নাকি জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে বহুমূল্যের উপহার দিতেন সুকেশ চন্দ্রশেখ। এনিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনেত্রীকে বেশ কয়েকবার নিজেদের দফতরে ডেকে পাঠায় ইডি।