মুম্বই: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুতদন্ত রোজই জটিল  মোড় নিচ্ছে। ২৮ জুলাই, মঙ্গলবার অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পটনার রাজেন্দ্রনগর থানায় এফআইআর দায়ের করেন সুশান্তের বাবা কে কে সিংহ।


এফআইআর-এ রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া, ঠকানো সহ একাধিক অভিযোগ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে মুম্বই আসে বিহার পুলিশ। রিয়ার খোঁজে তার বাড়িও যায় তারা। তবে রিয়া তখন বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা যায়। সেই সময়ই শোনা যাচ্ছিল, গ্রেফতারি এড়াতে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন রিয়া। তবে রিয়া সরাসরি চলে যান সুপ্রিম কোর্টে। আবেদন করেন যাতে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত, বিহার থেকে মুম্বইতে সরিয়ে আনা হয়। রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই আবেদন  রাখেন।

পিটিশনে রিয়া চক্রবর্তী লেখেন, লিভ-ইন রিলেশনে ছিলেন সুশান্তের সঙ্গে। এখন তাঁকে ভুল অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। সুশান্ত মৃত্যুর পর থেকেই নানাভাবে হুমকির শিকার হচ্ছেন। পেয়েছেন ধর্ষণের হুমকিও। তাই তিনি বেশ আতঙ্কিত। এই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি বিহার থেকে মুম্বইতে সরিয়ে আনা হোক। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি,  বিহারে কখনওই নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয়।

শীর্ষ আদালতের কাছে রিয়া আবেদনে বলেন, ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন সুশান্ত। অ্যান্টি-ডিপ্রেশ্যান্ট ওষুধও খাচ্ছিলেন। ১৪জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাটে আত্মহত্যাই করেন সুশান্ত।

এরপর থেকেই একের পর এক হুমকি পেতে শুরু করেন রিয়া। এই নিয়ে মুম্বই পুলিশের কাছে অভিযোগও জানান তিনি।

সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে তাঁর রাঁধুনী অশোক, তাঁর বোন নীতু সিং এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু মহেশ শেট্টিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বিহার পুলিশের দল। ফোনে ১০ জনের বয়ান নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আজ সুশান্তের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট খতিয়ে দেখবে পুলিশ। অভিনেতার মনোবিদকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সূত্রের খবর, তিনজনকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে সুশান্তের ল্যাপটপ, মোবাইল ও কিছু হার্ডডিস্ক নিজের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন রিয়া। যাতে সুশান্ত মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে। রিয়া সুশান্তকে ব্ল্যাকমেল করতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আপাতত সুশান্তের বাবার এফআইআর-এর ভিত্তিতেই তদন্ত চালাচ্ছে বিহার পুলিশ।