লখনউ: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। পরপর পাঁচবার টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। তবে শেষ দু’বার টেস্ট রিপোর্ট ছিল নেগেটিভ। অবশেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলিউডের গায়িকা কণিকা কপূর। আপাতত বাড়িতেই ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন তিনি। তবে বিতর্ক থেকে এখনই অব্যহতি পাচ্ছেন না তিনি। লকডাউন উঠে গেলেই কণিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।


গত ৯ মার্চ লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে কোনও উপসর্গ ধরা না পড়লেও কর্তৃপক্ষ কণিকাকে সেলফ আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেন। অভিযোগ, সেসব কিছুই মানেননি কণিকা। বদলে যোগ দিয়েছিলেন তিন তিনটি পার্টিতে। তার মধ্যে একটি পার্টির আবার আয়োজক ছিলেন কণিকা নিজেই। অভিযোগ ১৩, ১৪ এবং ১৫ মার্চ কানপুর-সহ একাধিক জায়গায় পার্টিতে গিয়েছিলেন কণিকা। প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ লোকের সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

এইসব অভিযোগের ভিত্তিতেই কণিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। গত ২০ মার্চ হাসপাতালে ভর্তি হন গায়িকা। সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছিল। চিকিৎসকদের একাংশ বলেছিলেন, সেলিব্রিটি সুলভ আচরণ না করে কণিকার উচিত একজন সাধারণ রোগীর মত আচরণ করা। অভিযোগ, হাসপাতালে থাকাকালীন সকলকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন গায়িকা।

প্রসঙ্গত, সরকারি নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে কণিকার বিরুদ্ধে মোট তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে একটি করেছিলেন লখনউয়ের চিফ মেডিক্যাল অফিসার নরেন্দ্রকুমার অগ্রবাল। সরোজিনী নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। কণিকার বিরুদ্ধে বাকি দু’টি এফআইআর দায়ের হয়েছে হজরতগঞ্জ ও গোমতিনগর থানায়।