মুম্বই : সমাজের অন্যান্য জায়গার মতো বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও কতটা পুরুষতান্ত্রিকতার প্রভাব ছিল, সেটাই সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে তুলে ধরলেন অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী (Mahima Chowdhury)। ১৯৯৭ সালে সুভাষ ঘাইয়ের পরিচালনায় শাহরুখ খানের বিপরীতে 'পরদেশ' ছবি দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ হয় তাঁর। এরপর 'দাগ' হোক কিংবা 'লজ্জা', অথবা 'ধড়কন', একের পর এক হিট ছবিতে এক দশক ধরে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই মহিমা চৌধুরীই সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এখনকার তুলনায় আগে বলিউডে কীভাবে নায়িকা নির্বাচিত করা হত।
আরও পড়ুন - Salman Khan Career: 'ম্যায়নে পেয়ার কিয়া' ছবির জন্য কত টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন সলমন খান?
বলিউডের পুরুষতান্ত্রিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে কখনওই দ্বিধাবোধ করেন না অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী। বরাবরই তিনি স্পষ্টবক্তা। সাক্ষাৎকারে বলেন, 'একজন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনে সে বিবাহিত, অবিবাহিত বা কোনও সম্পর্কে রয়েছে কিনা এগুলোর খুবই প্রভাব ছিল। নায়িকাদের ক্ষেত্রে, যে সময়ে সে কারও সঙ্গে ডেট করছে, তার মানেই সে আর কারও তালিকায় নেই। এর মানেটা এরকম- ওহ! ও ডেট করছে! তাহলে দরকার নেই। আর যদি সে বিবাহিত হয়, তাহলে সব ভুলে যাও। তোমার কেরিয়ার শেষ। আর যদি তার কোনও সন্তান থেকে থাকে, তাহলে তো একেবারেই ভুলে যাও।'
আরও পড়ুন - বিয়ের দিন কী কাণ্ড করেছিলেন শ্রীরাম নেনে? কুড়ি বছর পর গোপন কথা ফাঁস করলেন মাধুরী দীক্ষিত
এরপর মহিমা চৌধুরী তখনকার অভিনেতাদের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বলেন, 'ধরুন কয়ামত সে কয়ামত তক ছবির সময় থেকেই। মানুষ কিন্তু জানতো না, অভিনেতা বিবাহিত নাকি অবিবাহিত। একই কথা প্রযোজ্য গোবিন্দার ক্ষেত্রেও। সে সময়ে অভিনেতারা নিজেদের সন্তানের ছবিও প্রকাশ করতে দিতেন না। তাতে যে তাঁদের আসল বয়স প্রকাশ পেয়ে যাবে। এই সমস্ত কিছুই এখন অনেক বদলে গিয়েছে। এখন ছবির দর্শকরা মেয়েদের নানারকম চরিত্রে অভিনয় করতে দেখতে পছন্দ করেন। এখন আর অভিনেত্রীদের ব্যক্তিগত জীবনের 'স্টেটাস' দিয়ে তাঁদের বিচার করা হয় না।'