কলকাতা: রাজ্যের সব সিনেমাহলকেই ১০০ শতাংশ দর্শকাসন খুলে দেওয়ার ছাড়পত্র দিল সরকার। শুক্রবার ২৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে যে ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের সব সিনেমাহলে ১০০ শতাংশ দর্শকাসন খুলে দেওয়ার নির্দেশ জারি করার কথা বলেন।

এতদিন পর্যন্ত রাজ্যে ৫০ শতাংশ দর্শকদের বসার ছাড়পত্র দিয়ে খোলা ছিল সিনেমাহলগুলি। করোনার শৃঙ্খল ছড়িয়ে পড়া রুখতে অন্যতম প্রয়োজনীয় শারীরিক দূরত্ববিধি নিশ্চিত করার জন্যই চালু রয়েছে যে বিধি। যদিও গত অক্টোবরে ফের সিনেমাহল খোলার পর থেকেই কম সংখ্যায় হলমুখী দর্শকের জেরে সিনেমাহল কর্তৃপক্ষের টানা আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী।

কিছুদিন আগেই খোদ কলকাতায় প্রিয়া, প্রাচী, মেনকার মতো একাধিক সিনেমাহল দর্শকসংখ্যা অন্তত কম জানিয়ে কিছুদিনের জন্য ঝাঁপ বন্ধ করে দিয়েছিল। যদিও আপাতত তারা ফের সিনেমাপ্রেমী জনগণের জন্য খুলে দিয়েছে হলের দরজা। এর মাঝেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা হল মালিকদের মুখে যে হাসি ফোটাবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ ঘিরে থেকে যাচ্ছে আশঙ্কাও।

দিনকয়েক আগেই তামিলনাড়ুতে হওয়া বিতর্কও এখনও টাটকা। তামিলনাড়ু সরকার তাদের রাজ্যের সব সিনেমাহলে ১০০ শতাংশ দর্শকাসনের ছাড়পত্র দেওয়ার পরই শুরু হয়েছিল তীব্র বিতর্ক। যার পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা চিঠি দিয়ে কেন্দ্রের লকডাউন বিধি মনে করিয়ে দেন তামিলনাড়ুর সরকারকে। যে বিধি কার্যকর থাকবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিতর্কের মাঝে ১০০ শতাংশ দর্শকাসনে ছাড়পত্রের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার।

কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। যার প্রাক্কালে বিভিন্ন ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মমতা সরকারের সিনেমাহলে ১০০ শতাংশ দর্শকাসনে ছাড়পত্র নিয়েও নতুন কোনও রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয় কি না, আপাতত সেটাই দেখার।

আজই রাজ্যের বেশ কিছু জায়গা সহ গোটা দেশে হয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় দফার ড্রাই রান। আগামী সোমবার দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে আলোচনায় বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছিলেন, সুদূর ভবিষ্যতেই দেশের জনগণের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে গণ টিকাকরণ।