নন্দীগ্রাম: শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে উত্তেজনা ছড়ায় নন্দীগ্রামে। তৃণমূলের পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের সভায় আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে বিজেপি। পরিস্থিতি সামাল দিতে নন্দীগ্রামে বাড়ানো হয় পুলিশ, র‍্যাফ।


গোটা ঘটনাক্রম নিয়ে আগের দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি রাজ্যের বর্তমান শাসকদলকে সিপিএমের থেকেও খারাপ বলে তোপ দাগেন। বিজেপি নেতা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘সিপিএমের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই করেছি, কিন্তু ওরাও কোনওদিন এভাবে সভা ভন্ডুল করতে যায়নি।’

দলবদলের পর শুক্রবারই প্রথমবার নন্দীগ্রামে বিজেপির কোনও সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সভার কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজনীতির অনেক পালাবদলের সাক্ষী নন্দীগ্রাম।

শুভেন্দু অধিকারীর সভার যাত্রাপথে তৃণমূলের পতাকা, ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। উল্টোদিকে, সভায় যোগ দিতে আসা কর্মীদের তৃণমূল বাধা দিয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করে বিজেপি।

শুভেন্দু অধিকারীর সভাস্থল থেকে ৭০০ মিটারের মধ্যে দলীয় পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। প্রতিবাদে নন্দীগ্রামের সামসবাদে হয় মিছিল। নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা পীযূষ ভুঁইয়া মিছিল থেকে বলেছেন, ‘বিজেপি আমাদের পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে দিয়েছে, তার প্রতিবাদে এই মিছিল।‘ অপরদিকে, তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপি-র সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেছেন, ‘আমাদের মেগা যোগদান কর্মসূচি রয়েছে, সভা বিশৃঙ্খলা করতে এধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে, আমাদের কর্মীদের বাধা দিচ্ছে তৃণমূল।‘

এদিন নন্দীগ্রামে তৃণমূলের পতাকা মাথায় বেঁধে, হাতে বাঁশ নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় বেশ কয়েকজনকে। যদিও ঘটনায় দলীয় যোগ মানতে চায়নি তৃণমূল। তৃণমূল নেতা তথা সামসাবাদ পঞ্চায়েত প্রধান হরেকৃষ্ণ পণ্ডা বলেন, ’ বিজেপি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে, যাতে কোনও গন্ডগোল না হয় তার জন্য আমরাই ব্যবস্থা নিই।’

কয়েকশো মিটারের মধ্যে দুই শিবিরের কর্মসূচি ঘিরে সতর্ক ছিল প্রশাসন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নামানো হয় পুলিশ ও র‍্যাফ।