কলকাতা: তাঁর সন্ন্যাস গ্রহণ এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। কটাক্ষ থেকে শুরু করে আলোচনা সমালোচনা.. সবই এখন তাঁর এই সন্ন্যাসগ্রহণকে কেন্দ্র করেই। ইতিমধ্যেই অবশ্য কিন্নর আখাড়া থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন তিনি। আর এবার মহামন্ডলেশ্বর হওয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা দেওয়ার অভিযোগ একেবারে খারিজ করে দিলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি (Mamta Kulkarni)। সদ্য 'আপ কি আদালত' শো -তে এসে, নিজের সন্ন্যাসগ্রহণ নিয়ে স্পষ্ট জবাব দেন মমতা। 


সদ্য এই চর্চা সামনে এসেছিল যে মহামন্ডলেশ্বর হওয়ার আগে নাকি ১০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন মমতা কুলকার্নি। এই কথা শুনে নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছেন মমতা কুলকর্নি। তাঁর কথায়, '১০ কোটি টাকা ছেড়ে দিন, আমার কাছে ১ কোটি টাকাও নেই। মানুষ জানে না আমি কীভাবে জীবন কাটাচ্ছি। সরকার থেকে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে। আমি লোকের থেকে ধার করে ২ লাখ টাকা নিয়েছিলাম। সেখান থেকেও আবার আমায় গুরুদক্ষিণা দিতে হয়েছে।'


পাশাপাশি, তাঁর সন্ন্যাসগ্রহণ নিয়ে বাবা রামদেবের কটাক্ষেরও জবাব দিয়েছেন মমতা কুলকার্নি। রামদেব মমতা কুলকার্নির মহামন্ডলেশ্বর হওয়াকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, 'বিশ্বের যাবতীয় সবকিছু ভোগ করে আচমকা সন্ন্যাসী হওয়ার ইচ্ছে হয়েছে। ভাবছেন এক দিনেই মহামণ্ডলেশ্বর তকমা পেয়ে যাবেন।' এছাড়াও রামদেব অভিযোগ আনেন, বাবা তকমা দিয়ে অনেকেই মহাকুম্ভে প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করছেন। সেটাও তিনি মেনে নেবে না বলেই জানিয়েছেন। সনাতন ধর্ম একটা অনুভূতি, চিরন্তন সত্য, যা অস্বীকার করা যায় না। তাকে নিয়ে হেলাফেলাও করা যায় না। কুম্ভের আসল সারমর্ম হল মানবতা, দেবত্ব, সাধুত্ব তুলে ধরা।' আর এই কটাক্ষের উত্তরে মমতা বললেন, 'ওঁর মহাকাল ও মহাকালীকে ভয় পাওয়া উচিত।'


অন্যদিকে মমতাকে কটাক্ষ করেছিলেন ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীও। তিনি প্রশ্ন তোলেন মমতা কুলকার্নির সন্ন্যাস নেওয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে। এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন অভিনেত্রী বলেন, ' ও তো এই পথে ভীষণ নতুন। ও যত বছর জন্মছে, আমি তত বছর শুধু সাধনা করেই কাটিয়েছি। সন্ন্যাস নেওয়া, কিন্নর আখাড়ায় সামিল হতে চাওয়া সবটাই আমার গুরুর নির্দেশে। আমি কিছুই করিনি। আর আমি ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীকে গিয়ে বলব, তাঁর গুরুকে গিয়ে প্রশ্ন করুন আমি কে। তিনি নিশ্চয়ই ভাল জানবেন আমার পরিচয়।'


আরও পড়ুন: Dev-Koel: 'ফের একসঙ্গে সিনেমা করুন', সরস্বতী পুজোয় দেব কোয়েলকে একসঙ্গে দেখে আর্জি অনুরাগীদের