নয়াদিল্লি: ‘দঙ্গল’-এ আমির খানের ফ্যাট টু ফ্যাব ও ফ্যাব টু ফ্যাট লুকে চমক লেগেছে নিশ্চয়ই। একবার তাঁকে দেখা যাচ্ছে প্রৌঢ় চেহারায়, রীতিমত ভুঁড়ি নিয়ে, আর একবার তাঁর চেহারা মেদহীন, পেশীবহুল। কীভাবে আমির শ্যুটিংয়ের কয়েক মাসের মধ্যে নিজের চেহারায় এরকম বদল ঘটালেন তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে। তবে যে পুষ্টিবিশেষজ্ঞের হাতে আমিরের এই হুবহু পরিবর্তন বলে শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি বই লিখছেন এ ব্যাপারে।


ওই বিশেষজ্ঞের নাম নিখিল ধুরন্ধর। বইয়ের নাম তিনি দিয়েছেন দ্য ধুরন্ধর ফ্যাট লস ডায়েট। তাতে তিনি বলেছেন, কীভাবে ভেবেচিন্তে তৈরি করা বিজ্ঞানসম্মত ডায়েটের মাধ্যমে আমিষ ও নিরামিষ খাবার থেকে পাওয়া প্রোটিনের পেশি তৈরির ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা যায়, একইসঙ্গে কমানো যায় খিদে।

৩০ বছরের বেশি সময় ধরে স্থূলতার ওপর গবেষণা ও চিকিৎসা করছেন ডক্টর ধুরন্ধর। তাঁর দাবি, ডায়েটের মাধ্যমে পেশি রক্ষা করার ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির গায়ের জোর শুধু বাড়ছে না, ব্লাড সুগার লেভেল বেশি নিয়ন্ত্রণে থাকছে তাঁর। ওই ফ্যাটও ফিরে আসছে না শরীরে।

আমির ধুরন্ধর সম্পর্কে বলেছেন, ‘দঙ্গল’-এর জন্য শরীরের ফ্যাট ১০ শতাংশেরও তলায় নিয়ে আসা মুখের কথা ছিল না। ডক্টর ধুরন্ধরের বিশাল অভিজ্ঞতার ফলে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ওই চিকিৎসককে ছাড়া তা সম্ভব হত না।

ধুরন্ধরের মতে, ওজন কমানো বলে কিছু হয় না। চটজলদি রোগা হওয়ার বিজ্ঞাপন যাঁরা মেনে চলেন, তাঁরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন, আদপেই তাঁদের ওজন কমছে। আসলে যা কমে যায়, তা হল শরীরের পেশি আর জল। যাঁরা ওভাবে ওজন কমান, দ্রুত সেই ওজন ফিরেও পান। কিন্তু তখন আর সেই ওজন পেশী হয়ে নয়, ফিরে আসে ফ্যাট হিসেবে। আর ভারতীয়দের শরীরে পেশী অপেক্ষাকৃত কম, তাই তা কমে গেলে সমস্যা হবে।

ডায়েটের ছাত্র হিসেবে আমির খানকে অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সক্ষম বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। শরীরের ফ্যাট ১০ শতাংশেরও নীচে নিয়ে আসার জন্য তাঁকে তিনি দিয়েছিলেন একেবারে নির্দিষ্ট, প্রোটিন বেসড ডায়েট। তাঁর তৈরি করা নিয়মাবলী অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার ফলই আমির পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।