কলকাতা: এই ধারাবাহিক শুরু হয়েছিল বন্ধুত্বের গল্প বলতে..আর সেই গল্পে ভর করেই দর্শকদের জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। ধারাবাহিক 'কার কাছে কই মনের কথা'-র শ্যুটিং ফ্লোরে, কার কাছে 'মনের কথা' বলতে পারেন শিমুল ওরফে মানালি দে (Manali De)। পর্দার বাইরেই বা কিভাবে সময় কাটাতে পছন্দ করেন অভিনেত্রী? মানালির সেই 'মনের কথা' শুনল এবিপি লাইভ (ABP Live)। 


ধারাবাহিকের শ্যুটিং ফ্লোরে যেমন একদিকে কাজের চাপ থাকে, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে সাজঘরের আড্ডা। মানালি বলছেন, 'শ্যুটিং সেটে সবার সঙ্গেই ভীষণ ভাল বন্ধুত্ব আমাদের। আর সমবয়সীদের তো একটা দলই রয়েছে, ঠিক পর্দার মতোই। শ্রীতমা, স্নেহাদি, রাজশ্রীদি, বাসবদত্তা, রুম্পা... আমরা সবাই ভীষণ মজা করি একটু অবসর পেলেই। খাওয়া-দাওয়া অবশ্যই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যাই তো বটেই, তবে হামেশাই অর্ডার করে ভালমন্দ খাবার আনিয়ে ছোটখাটো উৎসব চলে। আর বিষয়টায় অগ্রগণ্য ভূমিকা থাকে শ্রীতমার।' পর্দায় যতই দ্বৈরথ থাকুক না কেন, ধারাবাহিকের প্রত্যেকের সঙ্গেই ভীষণ ভাল সম্পর্ক পর্দার শিমুলের। অভিনেত্রী বলছেন, 'এখন যাঁদের সঙ্গে কাজ করছি, তাঁরা অনেকেই আমার পূর্বপরিচিত, যেমন রীতাদি। অনেকের সঙ্গে আবার এই ধারাবাহিকের সূত্রেই আলাপ। তবে এত ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে যে মনে হত কতদিনের চেনা। যেমন শ্রীতমা তো একেবারে আমার বোনের মতোই হয়ে গিয়েছে।'


এ তো গেল পর্দার গল্প.. লাইটস.. ক্যামেরার বাইরে, শিমুলের জীবনটা ঠিক কেমন? মানালি বলছেন, 'ছুটির দিনগুলো নিজের মতো করেই সময় কাটাই আমি আর তার প্রথম শর্ত হল বেলা করে ঘুম থেকে ওঠা। আমি ভীষণ ঘুমোতে ভালবাসি। আর তারপরে চেষ্টা করি বাবার বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ি দুই জায়গাতেই সময় কাটাতে। সাধারণত চেষ্টা করি দুপুরের খাওয়াটা বাবার সঙ্গে করতে আর রাতে শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাই। আমার মনে হয়, ছুটির দিনটা পরিবারের জন্যই। বাবা আর অভিমুন্য.. দুজনের ওপরেই ভীষণ নির্ভরশীল আমি। যতটা সম্ভব ওদের সময় দিতে চেষ্টা করি।' 


অবসরে মানালির শখ রান্না নাকি সিনেমা? হাসতে হাসতে অভিনেত্রী বলছেন, 'আমি খেতে ও খাওয়াতে দুইই ভীষণ ভালবাসি। তবে আমি আর অভিমুন্য যখন একসঙ্গে থাকি, তখন আমাদের প্রিয় টাইমপাস হচ্ছে বিভিন্ন ভাষার সিনেমা বা সিরিজ দেখা।'


আরও পড়ুন: Vicky Kaushal at Kolkata: 'এই শহর জানে আমার প্রথম সবকিছু'... কলকাতায় এসে কোন অভিজ্ঞতা জীবনে প্রথম হয়েছিল ভিকির?