রঞ্জিত হালদার, রাজপুর: পদ এক, অথচ দাবিদার দুই। কে শহর সভাপতি? দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুরে তৃণমূলের দুই নেতা-নেত্রীর পোস্টার ঘিরে দেখা দিয়েছে বিতর্ক।


মাস দুয়েক আগে রাজপুরের তৃণমূল সভাপতি করা হয় কুহেলি ঘোষকে। উপনির্বাচনে তিন কেন্দ্রে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে এই তৃণমূল নেত্রীর নামে পোস্টার পড়েছে। 


ঠিক একইভাবে শারদ শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার দিয়েছেন সদ্য প্রাক্তন সভাপতি শিবনাথ ঘোষ। কিন্তু সেখানে নিজেকে রাজপুর টাউনের সভাপতি বলে দাবি করেছেন এই প্রবীণ নেতা। তিনি বলেন, দিদি আমার কাছে জানতে চান কে করেছে। আমি বললাম, কে করেছে জানি না, তবে ঘরের মধ্যে ঘর হয়ে যাচ্ছে। বাজে জায়গায় যাচ্ছে। দিদি তখন বলেন, আপনি আছেন আপনি থাকবেন। 


আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়ের খাসতালুকে তৃণমূলে কোন্দল, হাবড়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার


অন্যদিকে, কুহেলি ঘোষ বলেন, ১৬ অগাস্ট রাজপুর-টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে আমার নাম প্রকাশিত হয়েছে, দলের পদ অনুযায়ী শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।  দলের নির্দেশ মেনে কাজ করছি।


পোস্টার বিতর্কে রাজপুরের প্রাক্তন টাউন সভাপতির পাশে দাঁড়িয়েছেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র। তিনি বলেন, শিবনাথ ঘোষকে মানছি কারণ দলের নির্দেশ মেনে করছি, শিবুদাকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। 


পোস্টার ঘিরে দুই শাসক নেতা-নেত্রীর কোন্দল সামনে চলে আসায়, খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, তৃণমূলের সব জায়গায় দু’জায়গায়, জেলাজুড়ে গোষ্ঠীকোন্দল, সামনে পুরসভা ভোটে দেখবেন রক্তারক্তি, পরের বছর ভোট তৃণমূল-তৃণমূল মারপিট করে মরবে।


আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের, প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল


তিরিশ অক্টোবরের উপনির্বাচন মিটলে, পুরভোটের ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজপুরের দুই নেতা-নেত্রীর আকচা-আকচি পুরভোটে প্রভাব পড়ে কি না তা নিয়ে বাড়ছে কৌতুহল।