মুম্বই: চলতি কৃষক আন্দোলনে সামিল এক বৃদ্ধা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। এবার বলিউডের সঙ্গীতশিল্পী মিকা সিংহও কঙ্গনাকে পরামর্শ দিলেন। তিনি বলেছেন, কঙ্গনার ক্ষমা চাওয়া উচিত। একইসঙ্গে মিকা কঙ্গনাকে অভিনয়ে মনোনিবেশ করার পরামর্শও দিয়েছেন। মিকার মন্তব্য, কঙ্গনা খুব ভালো ও প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী। এজন্য তাঁর অভিনয়েই মন দেওয়া উচিত।
তাঁর ট্যুইটে মিকা কঙ্গনার ‘হঠাৎদেশভক্তি’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে ট্যুইটারে ‘দেশভক্তির দেখনদারি’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মিকা।


কঙ্গনা ইদানিং ট্যুইটারে খুবই সক্রিয়। সেখানে সম্প্রতি বেশ কিছু ট্যুইট ঘিরে বিতর্কে জড়িয়েছেন কঙ্গনা। গত বৃহস্পতিবার এমনই একটি ট্যুইট তিনি করেছিলেন কৃষক আন্দোলন নিয়ে। আন্দোলনে সামিল এক বৃদ্ধাকে নিয়ে ট্যুইটে কঙ্গনার টিপন্নি অনেকেরই পছন্দ হয়নি। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ।
বৃহস্পতিবার ট্যুইটারে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল দিলজিৎ ও কঙ্গনার। তাঁর ট্যুইট সম্পর্কে দিলজিৎ-এর প্রতিক্রিয়ায় ছেড়ে কথা বলেননি কঙ্গনা। তিনি পাল্টা ট্যুইট করেন। আর এরপরই দুজনে তীব্র বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। আর এই লড়াই শালীনতার সীমাও ছাড়িয়ে যায়। এরইমধ্যে আজ দিলজিৎ-এর পাশে দাঁড়িয়েছেন মিকা। তিনি কঙ্গনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। সেইসঙ্গে প্রশ্নও করেছেন, এভাবে শেষপর্যন্ত কঙ্গনা কাকে নিশানা করতে চাইছেন।

উল্লেখ্য, কোনও প্রমাণ ছাড়াই কঙ্গনা দাবি করেন, শাহিনবাগের আন্দোলনকারী বৃদ্ধা বিলকিস কৃষক আন্দোলনেও যোগদান করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি নাকি ১০০ টাকার বিনিময়ে যে কোনও প্রতিবাদে চলে যান। সেই টুইটের পাল্টা উত্তর দিয়েছিলেন দিলজিৎ। মহিন্দর কৌর নামে এক বৃদ্ধার ভিডিও তুলে ধরে । দিলজিৎ দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে বিলকিসকে গুলিয়ে ফেলেছিলেন কঙ্গনা। তারপরই দুজনের ট্যুইটে বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। দিলজিৎ-কে ‘কর্ণ জোহরের পোষ্য’ বলেও কটাক্ষ করেন কঙ্গনা। পাল্টা জবাব দেন দিলজিৎ। এভাবে বেশ কয়েক দফা দুজনের ট্যুইটার-যুদ্ধ চলে। আর ট্যুইটের ভাষা তুই-তোকারির পর্যায়ে নেমে এসেছিল।

এরইমধ্যে কঙ্গনার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করার দাবিও উঠেছে। বম্বে হাইকোর্টে দায়ের এক আর্জিতে কঙ্গনার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করার দাবি জানানো হয়েছে। ওই আর্জিতে দাবি করা হয়েছে, কঙ্গনা তাঁর ট্যুইটের মাধ্যমে দেশে বিদ্বেষের বাতাবরণ তৈরি করছেন। এই সব দাবিকে অবশ্য আমল দিচ্ছেন না কঙ্গনা। তিনি বলেছেন, ট্যুইটারে ব্যান করা হলেও তাঁর মঞ্চের অভাব নেই। উল্লেখ্য, এর আগে তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের পোস্ট ঘিরে তীব্র বিতর্ক হয়েছিল। এরপর তাঁর অ্যাকাউন্সও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন কঙ্গনার বিরুদ্ধে আর্জি আদালত স্বীকার করে কিনা, তা এখন দেখার।