কলকাতা: বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৈশাখীকে   হেনস্থার অভিযোগে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন তাঁরা।   রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর শোভন বলেছেন,  ‘আল আমিন কলেজ থেকে বৈশাখীকে উপড়ে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কলেজ কারও অ্যাজেন্ডা পূরণের জায়গা নয়।সরকারের আত্মসমালোচনা করা উচিত। রাজ্যপাল সহানুভূতির সঙ্গে গোটা বিষয়টি শুনেছেন।


এরমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনার মধ্যেই তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন বলেছেন, ছোটবেলা থেকেই শুভেন্দুকে চিনি, শিশিরদাকে জানি। শুভেন্দু তাঁর মত নিজেই জানাবেন।প্রত্যেক রাজনৈতিক নেতার নিজের সম্মান রয়েছে। শুভেন্দু একজন পরীক্ষিত সৈনিক।'

শোভন বলেছেন, কারও অধিকার হরণ হলে বিচার হওয়া উচিত।

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কলেজের সামনে আন্দোলন করা হচ্ছে। আমি তো পদ ছেড়ে দিয়েছি, পোস্টারে কেন আমার নাম। পড়ুয়াদের কেন বিপথগামী করা হচ্ছে, তদন্ত হোক। ফিরহাদ হাকিমের কী অধিকার আছে?ওনার কী অধিকার আছে আমাকে উৎখাত করার?ফিরহাদ হাকিম আমাকে চাকরি দেননি।’

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শোভন ও বৈশাখী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের দলের কাজে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। এরইমধ্যে আল আমিন কলেজের বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন বৈশাখী ও শোভন।

বৈশাখীর অভিযোগ, ফিরহাদ তাঁকে কলেজ থেকে উৎখাতের হুমকি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, রাজভবনে আসার আগে  বৈশাখী বলেছিলেন, ‘আমি যে কলেজের অধ্যক্ষ ছিলাম, সেই মিল্লি আল আমিন কলেজে দীর্ঘ দিন ধরে অচলাবস্থা চলছে। আমি জুন মাসে পদত্যাগ করা সত্ত্বেও সেই অচলাবস্থার দায় এখনও আমার উপর চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে। ওই কলেজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ এবং রাজ্যপাল পদাধিকার বলে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, তাই তাঁকে গোটা বিষয়টি জানাব।’

গত মাসে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ। তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন শোভন ও বৈশাখী। রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁদের কোনও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি।

শুভেন্দু ইতিমধ্যেই মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। এরপর তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় জট কেটেছে বলে মনে হচ্ছিল, তখনই তাল কাটেন শুভেন্দু। তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় দলের সঙ্গে শুভেন্দুর মধ্যস্থতার কাজ করছিলেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে শেষ বৈঠকের পর শুভেন্দু তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন, একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। ফলে তাঁর সঙ্গে দলের আলোচনার দরজা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে খবর।