কলকাতা: লাল সোনালি সাবেক সাজ, খোঁপায় জড়ানো ফুলের মালা, পঞ্চমীর রাতে মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) যেন ঘরের মেয়ে। আবাসনের পুজো উদ্বোধন হল নায়িকার হাতেই। বাবা মায়ের সঙ্গে পুজোর আনন্দে সামিল নায়িকা। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাগ করে নিলেন টুকরো ছবি। 


পুজোর সময় তৃণমূল সাংসদ হামেশাই ধরা দেন ঘরের মেয়ে হয়ে। এই সময়টা কসবার আবাসনের পুজোয় সময় কাটান তিনি। জলপাইগুড়ির বাড়ি থেকে আসেন বাবা-মা। এই আবাসনেই ধুনুচি নাচের তালে মেতে উঠতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। অন্যথা হল এই বছরেও। এই বছর ফিতে কেটে পুজোর উদ্বোধন করেন মিমিই। ঠাকুর মুখ থেকে সরানো হয় আবরণ। মঞ্চে উঠে মাইক নিয়ে সবার উদ্দেশে কিছু কথাও বলেন মিমি। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজে মিমিরই গলাতে পুজোর নতুন গান। 


আরও পড়ুন: 'Kacher Manush' Exclusive: প্রেক্ষাগৃহে পুজোর মরসুম, ভিড় প্রসেনজিৎ-দেব ও 'কাছের মানুষ'দের


গতবছর এই আবাসনের পুজোতেই ধুনুচি নাচ করেছিলেন মিমি। প্রিয় অভিনেত্রীকে দেখে ভিড়ও জমেছিল। মায়ের সঙ্গেই পা মিলিয়েছিলেন অভিনেত্রী নাচের তালে। উদ্যোক্তাদের আশা, এই বছরেও একইভাবে চেনা ছন্দে ধরা দেবেন মিমি। 


জলপাইগুড়ির মিমি থেকে অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, এই সফরে কতটা জড়িয়ে রয়েছেন মা? এবিপি লাইভকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিমি বলেছিলেন, 'আজ পড়াশোনাটা শিখতে পেরেছি মায়ের জন্য। একটা সময় খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল পরিবার। সেইসময় মা জেদ করে বলেছিলেন, আমার আর দিদিভাইয়ের পড়াশোনার সঙ্গে যেন কোনওরকম আপোশ না করা হয়। দুজনের ভালো স্কুলে পড়া চাইই চাই। তারপরবড় হয়ে যখন রুপোলি পর্দায় পা রাখার সিদ্ধান্ত নিলাম, প্রথমটা মেনে নেননি মা। বেশ অনেকটা সময় লেগেছে। পাঁচ-ছয় বছর আগে পর্যন্ত মা বেশ কড়া ছিলেন। এখনও যদি মা আমার কলকাতার বাড়িতে এসে থাকেন আর আমার ফিরতে রাত ১১টা ১২টা হয়ে যায়, মা ফোন করেন। শ্যুটিংয়ে থাকলে আমার সহকর্মীদের ফোন করে জিজ্ঞাসা করেন, আমি খেয়েছি কি না.. মেসেজ করে সময়ে খেয়ে নিতে বলে। ওটাই মা.. ওইটুকু শাসন না থাকলে মিস করি।'