কলকাতা: লম্বা ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। ডেস্টিনেশন লাদাখ। তাঁর প্রোফাইল ভরে উঠেছে ঝলমলে রোদমাখা পাহাড়ি ছবিতে। তিনি মনামী ঘোষ। 


মনামী মানেই তো পায়ের তলায় সর্ষে। কাজ থেকে ফুরসত পেলেই তিনি বেরিয়ে পড়েন সফরে। যেমন পাহাড় প্রিয় তার, ততটাই প্রিয় সমুদ্র। লক্ষ্মীপুজোর আগেই লাদাখ পাড়ি দিয়েছেন মনামী। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিয়েছেন একাধিক ছবি। আজ সকালেই তিনি লাদাখের বিখ্যাত প্যাঙগঙ লেকের সামনে ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। একটি হলুদ স্কুটিতে চড়ে বসে আছেন মনামী, মাথায় লাল হেলমেট। একঝলক দেখলেই মনে পড়ে যায় 'থ্রি ইডিয়েটস'-এর শেষাংশের কথা। কনের বেশে হলুদ স্কুটিতে করে আসছেন করিনা কপূর। আর লেকের ধারে দাঁড়িয়ে আমির খান। সেই হলুদ স্কুটির সঙ্গে ছবি পোস্ট করে মনামী লিখেছেন, 'এই স্কুটির সঙ্গে তো একটা ছবি তুলতেই হয়।'


কেবল স্কুটারের ছবি নয়, লাদাখের রাস্তায় মনামীর ঝলঝকে ছবি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। প্রত্যেক পোশাকেই তিনি ফ্যাশানিস্তা। কখনও স্কার্ফ তো কখনও হালকা ঢিলেঢালা পোকাশ। মনামীর লাদাখ ডায়েরি অবশ্যই ফ্যাশান গোল দিচ্ছে।



সদ্য শেষ হয়েছে নাচের প্রতিযোগীতা 'ডান্স ডান্স জুনিয়ার'-এর অন্তিম পর্ব। এই শো-তে বিচারকের ভূমিকায় ছিলেন মনামী। গ্র্যান্ড ফিনালের শ্যুটিং-এর জন্য 'ডান্স ডান্স জুনিয়ার'- এর সেটে এসেছিলেন রেমো ডি সুজা, সানি লিওনি, ও হেলেন। সঙ্গে যথারীতি উপস্থিত ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী, দেবও। কেমন ছিল গ্র্যান্ড ফিনালের শ্যুটিং-এর অভিজ্ঞতা? মনামী বলেছিলেন, 'আমি কোনও পারফরমেন্স ভালো লাগলে টেবিলে উঠে প্রশংসা করি। আমার নিজের থেকে ভারি একটা কস্টিউম থাকে। তার ওপর সব জিনিস সরিয়ে টেবিলে ওঠাটা একটা কাণ্ড! আমার পাশেই বসেছিলেন রেমোজী। প্রথমবার উনি লক্ষ করলেন আমি কীভাবে স্টেজে উঠলাম। তারপর দ্বিতীয়বার যখন টেবিলে উঠতে যাব, রেমোজী বলে উঠলেন, আমি জানি আমায় কী করতে হবে। বলেই টেবিলের ওপর থেকে সমস্ত জিনিস সরিয়ে আমায় জায়গা করে দিলেন নিজেই। সাহায্য করলেন টেবিলে উঠতেও। সে এক মজার অভিজ্ঞতা।'