মুম্বই: ছেলেকে চোখে হারাচ্ছেন মা। বলিউডে এরকম নজির রয়েছে বেশ কয়েকটা। যেমন রণবীর কপূর ও নীতু সিংহ কপূর।

সম্প্রতি ঋষি কপূর প্রয়াত হয়েছেন। নীতু-রণবীরকে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে। তবে খারাপ সময়েও মা-ছেলে একে অপরকে আগলে রেখেছেন।

রণবীর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে একাধিকবার বলেছেন যে, তাঁর ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নীতুর ভূমিকা অপরিসীম। ঋষির সঙ্গে খুব একটা অন্তরঙ্গতা ছিল না রণবীরের, যে কথা ঋষিও একাধিকবার বলেছেন। তবে বাবার সঙ্গে ছেলের যোগসূত্র হয়ে দাঁড়াতেন নীতু। এরকম একাধিক বার হয়েছে যখন ঋষিকে কোনও কথা সরাসরি জানাতে পারেননি রণবীর, মায়ের সাহায্য নিয়েছেন। পরে ঋষি যখন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন, তখন অবশ্য রণবীর ছুটে গিয়েছিলেন বাবার কাছে এবং বি টাউনের খবর, পুরোটাই হয়েছিল নীতুর উদ্যোগে।

বরাবরই মাদার্স বয় রণবীর। অভিনেতা নিজেও সেকথা একাধিকবার বলেছেন। জানিয়েছেন, মাকে কষ্ট দেওয়ার কথা তিনি ভাবতেও পারেন না। নীতু মনে করেন রণবীর খুব কোমল স্বভাবের। তাই কাউকে কষ্ট দিতে পারেন না। তাই অজান্তে কাউকে কষ্ট দিয়ে ফেললে রণবীর নিজেও নাকি খুব যন্ত্রণাবিদ্ধ হন।



ঋষি-নীতুর দুই সন্তান। মেয়ে ঋদ্ধিমা বয়সে রণবীরের চেয়ে দুই বছরের বড়। নীতু এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, রণবীর তাঁকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করেন দুই সন্তানের মধ্যে নীতু কাকে বেশি ভালবাসেন। নীতু মজা করে ঘুরিয়ে জবাব দিতেন, ‘শুধু মনে রেখো ঋদ্ধিমা তোমার চেয়ে দুবছর আগে পৃথিবীতে এসেছে। তাই ওকে ভালবাসার জন্য দুবছর বাড়তি সময় পেয়েছি।’



সংবাদমাধ্যমে জোর জল্পনা যে, নীতুর পছন্দ হয়নি বলে রণবীরের একাধিক সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে। যদিও রণবীর সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে রণবীরের বিচ্ছেদের সময়ও অনেকে নীতুর দিকে আঙুল তুলেছিলেন। বলা হয়, নীতুর মত ছিল না বলে ক্যাটরিনার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন রণবীর। এমনকী, নীতু একবার একটি ছবি পোস্ট করার সময় ক্যাটরিনাকে ক্রপ করে বাদ দিয়েছিলেন, যা নিয়ে বিস্তর জল্পনা হয়েছিল।

তবে রণবীরের বর্তমান প্রেমিকা অভিনেত্রী আলিয়া ভট্টকে মেনে নিয়েছেন নীতু। বলা হয়, সে কারণেই কপূর পরিবারের অন্দরমহলে আলিয়ার অবাধ গতিবিধি।  আলিয়ার সঙ্গে তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন নীতু। একে অপরের ছবি লাইক করেন। কমেন্টও করেন। ঋষির প্রয়াণের সময়ও কপূর পরিবারের পাশে ছিলেন আলিয়া।