কলকাতা: এই গল্প স্বাধীনতা সংগ্রামের। এই গল্প, জেদ, লড়াই, স্বাধীনতা আর চরিত্রের ভাঙাগড়ার। এই গল্প ফুটবলের। সদ্য মুক্তি পেয়েছে নতুন ছবি 'মুক্তি'-র ট্রেলার। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে শুরু করে ফুটবলের ময়দান, ইংরেজদের গড় থেকে শুরু করে বিয়ের পিঁড়ি, ভারতীয়দের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প বলবে মুক্তি। 'মুক্তি' সিরিজে অভিনয় করতে দেখা যাবে ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwik Chakraborty), অর্জুন চক্রবর্তী (Arjun Chakraborty), দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy), চিত্রাঙ্গদা (Chitrangada), চান্দ্রেয়ী ঘোষ (Chandreyee Ghosh), সুদীপ সরকার (Sudip Sarkar) সহ একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীকে। 


মুক্তিতে এক জেলারের চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। ছবিতে তাঁর নাম রামকিঙ্কর। কেমন ছিল এই চরিত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা? ঋত্বিক বলছেন, 'তৎকালীন মধ্যবিত্ত সমাজের আর পাঁচটা সাদামাটা মানুষের মতোই একটা চরিত্র এই রামকিঙ্কর। সে ব্রিটিশ সরকারদের অধীনে চাকরি করে। পরাধীন ভারতবর্ষের মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলের ভারতীয় জেলার রামকিঙ্কর। সেসময় ব্রিটিশ সরকারের অধীনে কোনও ভারতীয়র চাকরি করা মানে তাকে নানাভাবে অপমান সহ্য করতে হত। তেমনই রামকিঙ্করকেও কমবেশি সহ্য করতে হয়েছে। রামকিঙ্করের নিজস্ব মত ব্রিটিশদের সমর্থনই করত কারণ, চাকরিটা তার প্রয়োজন। কিন্তু বারংবার অপমান, চারপাশে ঘটতে থাকা ঘটনা যেন আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেয় তার। শুরু হয় নিজের সঙ্গেই নিজের লড়াই, আত্ম অনুসন্ধান। এই দ্বন্দ্বই এই চরিত্রটার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক। এই টানাপোড়েনের মধ্যে নিয়ে রামকিঙ্কর তার নতুন সত্তাকে খুঁজে পাবে কি না তার উত্তর দেবে 'মুক্তি'-র ক্লাইম্যাক্স। তবে এই রামকিঙ্করের চরিত্রটার দ্বন্দ্বটাই আমায় সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছে।


আরও পড়ুন: "সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় প্রশংসা করেছেন, কী প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত বুঝতেই পারিনি"


পরাধীন ভারতের বিভিন্ন ছবি তুলে ধরেছে 'মুক্তি।' এই ছবি চরিত্রকেন্দ্রিক নয়, সমাজকেন্দ্রিক। কেবল জেল আর হিংসা নয়, অহিংস আন্দোলনের প্রতীক হয়ে 'মুক্তি' বলবে একটা ফুটবল ম্যাচের গল্পও। ঋত্বিক বলছেন,  'কেবল রামকিঙ্কর নয়, সেই সময়ের সমাজ, মানুষের ভাবনা বা তার বদল সমস্ত জিনিসকে খুব সাফল্যের সঙ্গে তুলে ধরবে 'মুক্তি'। ছবিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিয়ে রয়েছে একটা ফুটবল ম্যাচ। সেই একটা ম্যাচটা গল্পকে কীভাবে পরিণতির দিকে নিয়ে যায় সেটা দর্শককে ধরে রাখবে। আমি কাজটা করার সময় খুব আনন্দ পেয়েছি। আশা করি দর্শকদের মধ্যে একটা ভালো কাজ দেখার আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পারব। সেইসঙ্গে গল্পের সঙ্গে জড়িয়ে যে ইতিহাস, আমাদের ইতিহাস, সেটাই দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাবে।'