মুম্বই: মাদককাণ্ডে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানের গ্রেফতারির ঘটনায় এসেছে নতুন মোড়। গোটা ঘটনাক্রমে লেগেছে রাজনীতির রং। শনিবার গভীর রাতে, মুম্বই থেকে গোয়া যাওয়ার পথে, বিলাসবহূল ক্রুজে অভিযান চালিয়ে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান-সহ আটজনকে গ্রেফতার করে এনসিবি। আজ দ্বিতীয়বার জামিনের আবেদন খারিজ করে আরিয়ানকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেয় এনসিবি।


কিন্তু এই ঘটনার নেপথ্যে কি রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে? মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী এবং এনসিবির নেতা নবাব মালিকের চাঞ্চল্যকর দাবিতে জোরাল হয়েছে সেই প্রশ্ন। ঠিক কী দাবি করেছেন এনসিপি নেতা? বুধবার নবাব মালিক দুটি ভিডিও ট্যুইট করেন। একটি ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, দু’জন একটা গাড়ি থেকে নেমে এনসিবির অফিসে ঢুকছে। একজন টি-শার্ট পরা ন্যাড়া মাথা। অন্যজন ফুলশার্ট এবং চশমা পরা। 


নবাব মালিকের ট্যুইট করা ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, দু’জন গাড়ি থেকে নেমে এনসিবি-র অফিসে ঢুকলেন। গেটের কাছে এক নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে কথা বললেন। তারপর সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে গেলেন। ঠিক এরপরই নবাব মালিক আরেকটি ভিডিও ট্যুইট করেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই দুই ব্যক্তি এনসিবি-র অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যাচ্ছেন। নবাব মালিকের দাবি, সেই রাতের, যেদিন এনসিবির ক্রুজে অভিযান চালায়। 



কিন্তু, এই দু’জন ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ কেন? নবাব মালিকের দাবি, ভিডিওতে দেখা যাওয়া এই ব্যক্তির নাম কে পি গোসাভি। যিনি একজন প্রাইভেট ডিটেকটিভ। পরে আরিয়ান খানের সঙ্গে এই ব্যক্তির একটি ছবিও ভাইরাল হয়। রবিবার গভীর রাতে যে ছবি প্রকাশ্যে আসে, সেখানে দেখা গিয়েছে, আরিয়ানের ঠিক পরেই, আরেক ধৃতকে নিয়ে এনসিবি অফিসে ঢোকেন ফুল শার্ট পরা, চশমা পরা এই ব্যক্তি। নবাব মালিকের দাবি, এই ব্যক্তির নাম মণীশ ভানুশালি। যিনি এক বিজেপি কর্মী। 


ইতিমধ্যে মণীশ ভানুশালীর সঙ্গে বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বের একাধিক ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অর্থাৎ এনসিপি নেতা নবাব মালিকের দাবি অনুযায়ী, ক্রুজে অভিযানের আগে এনসিবির অফিসে গেছিলেন এক প্রাইভেট ডিটেকটিভ এবং বিজেপি কর্মী। অভিযানের সময়ও গোয়েন্দাদের সঙ্গে ছিলেন তাঁরা। 


এনিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক। তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অভিযানে একজন বিজেপি কর্মী কী করছিলেন? যদিও মণীশ ভানুশালির দাবি, কর্ডেলিয়ার ক্রুজ পার্টিতে যে ড্রাগ নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে তিনিই আগে খবর পেয়েছিলেন। তিনি এনসিবিকে জানিয়েছিলেন সেই কথা। আর সাক্ষী হিসেবেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।