কলকাতা: আরও বিপাকে অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি (Shilpa Shetty) আর তাঁর স্বামী রাজ কুন্দ্রা (Raj Kundra)। তাঁদের বিরুদ্ধে আগেই ৬০ কোটি টাকার প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছিল। আর এবার, সেই মামলায় যুক্ত হল নতুন ধারা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪২০ যুক্ত হয়েছে শিল্পা আর রাজের মামলায়। এই মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি FIR দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ। সেই কারণে শিল্পা শেট্টি ও রাজ কুন্দ্রার নামে যোগ হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪২০ যেটি একটি প্রতারণা-র ধারা।

Continues below advertisement

ঠিক কী অভিযোগ শিল্পা শেট্টি আর রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে? শিল্পা শেট্টি ও তাঁর স্বামী রাজ কুন্দ্রার নামে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ব্যবসা সংক্রান্ত একটি বিষয়ে তাঁরা নাকি ৬০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপে জড়িত রয়েছেন।  ব্যবসায়ী দীপক কোঠারি অভিযোগ করেছেন যে, শিল্পা এবং রাজ তাঁর সঙ্গে ৬০ কোটি টাকারও বেশি প্রতারণা করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তিনি দাবি করেছেন যে, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে দেওয়া অর্থ আসলে ব্যক্তিগত খরচে নষ্ট করা হয়েছে। পরে, রাজ দাবি করেন যে, ৬০ কোটি টাকার জালিয়াতির কিছু অংশ অভিনেত্রী বিপাশা বসু এবং নেহা ধুপিয়াকে পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। এই মামলায় প্রধান অভিযোগকারী খুব শীঘ্রই প্রতারণার পরিমাণ বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি-র (ED) সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এই মামলা চলাকালীন শিল্পা শেট্টি ২ বার আদালতে আবেদন করেছিলেন বাইরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ২ বারই নাকচ হয়ে যায় সেই আবেদন। আর তারপরেই শিল্পা শেট্টি নিজেরাই সেই আবেদন ফিরিয়ে নিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, ডিসেম্বর মাসে ফের এই মামলায় বিদেশযাত্রার আবেদন জানাবেন শিল্পা শেট্টি। ডিসেম্বর মাসে ফের বিদেশযাত্রার প্রয়োজন শিল্পা শেট্টির। আর সেই কারণেই ফের আবেদন জানাবেন শিল্পা শেট্টি। শুনানির সময়, অভিযোগকারী দীপক কোঠারীর আইনজীবী ডাক্তার ইউসুফ ইকবাল ইউসুফ এবং জৈন শ্রফ আদালতে দাবি করেন, শিল্পা শেঠির দাখিল করা হলফনামার জন্য করা নোটরীর প্রক্রিয়ায় একটি জায়গায় তাঁর নিজের স্বাক্ষর নেই। তাঁরা আরও বলেন যে, 'সম্ভাবনা আছে যে সেই স্বাক্ষর অন্য কেউ করেছেন।' এই বিষয়ে আদালতের তরফ থেকে বলা হয়েছে,  'যদি আপনি এর উপর কোনো ব্যবস্থা নিতে চান, তাহলে আপনি আইন অনুযায়ী করতে পারেন। অভিযোগকারীর আইনজীবী শীঘ্রই এই হলফনামার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য এবং আদালত অবমাননার আবেদন করবেন।'

Continues below advertisement