মুম্বই: চিনতেন পরস্পরকে, কথাবার্তাও হতো। কিন্তু প্রথম দেখায় মন দেওয়া-নেওয়া হয়নি। বরং একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে পরস্পরকের চেনা, বোঝা। অতীতের ধার-বাকির দিকে তাই আর ফিরেও তাকাননি দু’জনে। বরং নতুন করে একসঙ্গে বাঁচার অঙ্গীকার করেছিলেন পরস্পরের কাছে।  তাই সাফল্যের শিখরে থেকেও ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়াকেই প্রাধান্য দেন। তাতেই নবদম্পতি কিয়ারা আডবাণী (Kiara Advani) এবং সিদ্ধার্থ মালহোত্র (Sidharth Malhotra) বলিউডের ‘দ্য ইট কাপল’ হয়ে উঠেছেন। রিসেপশনের রাতেও ফের ধরা পড়ল তাঁদের পারস্পরিক সমীকরণ (Kiara-Sidharth Reception)।


রিসেপশনের রাতেও ফের ধরা পড়ল তাঁদের পারস্পরিক সমীকরণ


গত ৭ জানুয়ারি রাজস্থানের জয়সলমেরের সূর্যগড় প্রাসাদে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন কিয়ারা এবং সিদ্ধার্থ। প্রেম যেমন আগাগোড়া গোপন ছিল, বিয়েও পরিবার এবং কাছের বন্ধুদের মধ্য়েই রেখেছিলেন তাঁরা। যদিও অনুরাগীদের নিরাশ করেননি। বিয়ের বিশেষ মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করে তুলে ধরেছিলেন দুনিয়ার সামনে। এমনকি কনেবেশী কিয়ারার মণ্ডপে প্রবেশের মুহূর্তও অভিভূত করেছে সকলকে। মায়ানগরীর বন্ধু-বান্ধব এবং কলাকুশলীদেরও এ বার নতুন জীবনে শামিল করলেন কিয়ারা এবং সিদ্ধার্থ। রবিবার রাতে রিসেপশনের আয়োজন করেন দু’জনে। সেখানে নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে একছাদের নিচে দেখা গেল বলিউডের তাবড় তারকাকে।


আরও পড়ুন: Sidharth Kiara New Home: সিদ্ধার্থ-কিয়ারার নতুন বিলাসবহুল বাড়িটি দেখেছেন?


মুম্বইয়ের সেন্ট রেজিস হোটেলে এ দিন রিসেপশন ছিল কিয়ারা এবং সিদ্ধার্থের। সেখানে তাঁদের সুখের মুহূর্তে শামিল হন কাজল-অজয় দেবগণ। কিয়ারাকে দেখেই বাহুডোরে বেঁধে ফেলেন কাজল। খোশগল্পে মেতে ওঠেন চার জনে। কাজল-অজয়কে অভ্যর্থনা জানানো থেকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া, একসঙ্গেই সারেন কিয়ারা এবং সিদ্ধার্থ। শুধু তাই নয়, সিদ্ধার্থের প্রাক্তন আলিয়া ভট্টও রিসেপশনে হাজির হন। তবে স্বামী রণবীর কপূর সঙ্গে ছিলেন না। বরং পরিচালক বন্ধু অয়ন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে রিসেপশনে পৌঁছন আলিয়া।


এর আগে দিল্লিতে পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনদের জন্য আলাদা রিসেপশনের আয়োজন ছিল। এ দিন মুম্বইতেও দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাপারাৎজিদের সামনে হাসিমুখে সকলের সঙ্গে পোজ দেন কিয়ারা এবং সিদ্ধার্থ।


কিয়ারা এবং সিদ্ধার্থের পোশাক নজর কেড়েছে সকলের


তবে রিসেপশনের রাতে কিয়ারা এবং সিদ্ধার্থের পোশাক নজর কেড়েছে সকলের। কারণ বিয়েতে যেখানে লেহঙ্গা-চোলিতে একেবারে ‘দেশি দুলহন’ সেজে হাজির হয়েছিলেন কিয়ারা, রিসেপশনে তাঁকে দেখা গেল কেতাদুরস্ত পশ্চমী সাজে। আইভরি এবং কালো রংয়ের মিলিয়ে তৈরি গাউন পরেছিলেন। গলায় ছিল ভারী হিরে এবং পান্নার নেকলেস। ভারী গহনার জন্য কান খালি রেখেছিলেন কিয়ারা। পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই সিঁদুর-মঙ্গলসূত্র এ দিন পরেননি কিয়ারা। কাল কাপড়ের উপর ঝকঝকে কাজ করা ব্লেজার ছিল সিদ্ধার্থের পরনে। তাই সাজে-পোশাকে ‘হীর-রাঁঝা’ থেকে একেবারে ‘রোমিও-জুলিয়েট’ হিসেবে তাক লাগালেন নবদম্পতি, এমনটা মনে করছেন তাঁদের অনুরাগীরা।