সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: মোবাইলের দোকানে (Mobile shop) দুঃসাহসিক চুরির (theft) অভিযোগে হইচই এলাকায়। গ্যাস কাটার (gas cutter) দিয়ে দোকানের শাটার কেটে দোকানে থাকা মোবাইল, চার্জার, হেডফোন সহ সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দিল দুষ্কৃতিরা। কয়েক লক্ষ টাকার (Lakhs of Money) সামগ্রী খোয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া ঢাকুরিয়া এলাকায়।
কী ঘটেছিল?
স্থানীয় সূত্রের খবর, সকালে পথচারীরা দেখে মোবাইলের দোকানের সাটারের বেশ কিছুটা কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তারা খবর দেয়, দোকান মালিকদের এবং খবর দেওয়া হয় পুলিশ প্রশাসনকে। এই ঘটনার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে দোকানে আসেন দোকান মালিকের ভাই মিঠুন বণিক। তিনি জানালেন, শনিবার দোকান বন্ধ করে সপরিবারে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছেন তাঁর দাদা ও দোকানের মালিক সুরজিৎ পোদ্দার। রাত ৮ টা নাগাদ ট্রেন ধরে কাশ্মীরে বেড়াতে যান। সে সুযোগ নিয়ে কে বা কারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। মিঠুন বাবুর কথায়, 'সকালে আমাকে পরিচিত লোকজন ফোন করে জানান দোকানে গ্যাস কাটার ব্যবহার করে শাটার কেটে দোকানের সর্বস্ব চুরি করে নিয়ে গেছে। দোকান থেকে আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকার সামগ্রী খোয়া গিয়েছে। এর আগে কোনও দিন এমন ঘটনা ঘটেনি।' তিনি দাবি করেন, জানাশোনা লোকজন ছাড়া এই ঘটনা ঘটানো অসম্ভব। কারণ যারা চুরি করেছে তারা জানত যে সুরজিৎ বাড়িতে নেই। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুধু উত্তর ২৪ পরগনা নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা তথা রাজ্যের নানা প্রান্তেই এই ধরনের চুরির ঘটনা নতুন নয়। গত নভেম্বরেই যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে একটি সোনার দোকানে চুরি ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছিল।
বার বার চুরি...
সে বার দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে সোনার দোকানে অভিনব উপায়ে চুরি করে পালাল দুই যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, কামালগাজির মোড়ে ওই সোনার দোকানে মাদুলি কিনতে গতকাল দুপুরে দুই যুবক আসে। রুপোর মাদুলি কিনে তারা টাকাও দেয়। তারপর কথায় কথায় দোকান মালিককে ব্যস্ত রেখে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না হাতসাফাই করে। দুই যুবক চলে যাওয়ার পর বিষয়টি নজরে পড়ে মালিকের। গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে দোকানের সিসি ক্যামেরায়। নরেন্দ্রপুর থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দু’জনকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:মধ্য়প্রদেশকে হারিয়ে রঞ্জির ফাইনালে বাংলা