নয়াদিল্লি: বলিউডের সেলেব্রিটিদের নিশানা কঙ্গনা রানাউতের। আমেরিকায় আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের মর্মান্তিক হত্যার নিন্দায় #BlackLivesMatter অর্থাত্ কালো মানুষের জীবনেরও দাম আছে, এই মর্মে যে প্রচার চলছে, তার ঢেউ লেগেছে ভারতেও। বলিউডের বেশ কিছু সেলেব্রিটি তার সমর্থনে এগিয়ে আসায় কটাক্ষ, সমালোচনায় সরব হয়েছেন কঙ্গনা। এদেশে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, করিনা কপূর খানের মতো তারকারা সোস্যাল মিডিয়ায় মার্কিন মুলুকে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যার প্রতিবাদ করেছেন। নাম না করে তাঁদেরই সমালোচনা করলেন কঙ্গনা।
বলিউড অভিনেত্রীর অভিযোগ, কেন এই সেলেব্রিটিরা পালঘরে দুই সাধুসহ তিনজনকে পিটিয়ে খুনের সাম্প্রতিক ঘটনায় নীরব। তিনি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাত্কারে বলেছেন, কয়েক সপ্তাহ আগেই ঘটেছে সাধু হত্য়ার ঘটনা। আজ পর্যন্ত কেউ একটি কথাও বলেননি। ঘটনাটি সেই মহারাষ্ট্রের যেখানে থাকেন এই সেলেব্রিটিদের অধিকাংশ। বলিউড তো হলিউডের আরেক ধার করা নাম! বলিউড সেলেব্রিটিরা একটা বুদবুদের মধ্যে বাস করেন, একটা কোনও ধুয়ো উঠলেই (তবে সেটা সাদা চামড়াদের দ্বারা চালিত হতে হবে) তাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, হয়তো এর কারণ ওদের প্রাক-স্বাধীনতা আমলের ঔপনিবেশিক দাসবৃত্তির জিন। এতে দুমিনিটের খ্যাতি অবশ্য মেলে।
পাশাপাশি যখন পরিবেশরক্ষায় অনেক ভারতীয় ব্যতিক্রমী, অসাধারণ কাজ করছেন, তখনও বিতর্কিত পরিবেশবাদী কর্মী গ্রেটা থুনবার্গের প্রতি বলিউডের প্রেম উপচে পড়ে বলেও কটাক্ষ করেন কঙ্গনা। বলেন, ওদের কাহিনি, ভূমিকার কথা শুনে বিস্মিত হয়ে যাই, কিন্তু তাঁরা কখনই ইন্ডাস্ট্রির একইরকম তারিফ, স্বীকৃতি পান না। সম্ভবত, বলিউডের লোকজন বা তাদের অনুগামীদের কাছে সাধু বা আদিবাসীরা তেমন আকর্ষণীয় নন।
তবে বলিউডে থেকেও সেখানকার লোকজনকে অতীতেও তোপ দেগেছেন কঙ্গনা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক নিন্দা-প্রতিবাদের ব্যাপারে তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন বলে অভিযোগ করেও কটাক্ষ করেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রির একাংশকে ভীতু, মেরুদণ্ডহীন তকমাও দেন।