নতুন ফটোশ্যুটে দেখা যাচ্ছে ইয়লো অকার শর্ট ড্রেস পরে সোফায় বসে নুসরত। তাঁর ডান হাতে মোবাইল, আর বাঁ হাতে সাদা স্টাইলিশ চশমা। এভাবেই বেশকিছু অ্যাঙ্গেলে ছবি পোস্ট করেছেন সাংসদ, অভিনেত্রী। ক্যাপশানে লিখেছেন, ''চিন্তার জন্য খাদ্য: এই জিনিসগুলি নিয়ে কাজ করা থেকে মানুষজন আমায় বিরত রাখতে পারেন না...আমার খুশি''। এই ছবির কমেন্ট বক্সেই শুরু হয় অশ্লীল মন্তব্যের ঝড়। তাঁর পোশাক নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ আবার এখানেও যশ-নিখিল টেনে আনতেও ছাড়েননি। তবে সকলেই যে শুধু বসিরহাটের সাংসদ, অভিনেত্রীকে আক্রমণ করেই পোস্ট করেছেন এমনও নয়, অনেকেই আবার নুসরতের সাহসী ফটোশুটের প্রশংসা করেছেন।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার নিজের পোশাক, ফটোশ্যুট ও টিকটক ভিডিওর জন্য আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে নুসরত জাহানকে। টিকটকে তাঁর ভিডিও পোস্ট করা নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করেছেন নেটিজেন থেকে শুরু করে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। প্রত্যেক আক্রমণেরই চাঁচাছোলা জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী।
এখানেই থেকে থাকেনি তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে বিতর্ক। একাধিকবার তাঁকে আক্রান্ত হয়ে হয়েছে ধর্ম নিয়েও। নুসরতের শাঁখা-পলা, সিঁদুর পরা থেকে শুরু করে দুর্গার লুকে তাঁর ফটোশ্যুট সবকিছুই উস্কে দিয়েছে বিতর্ক। কেবল কদর্য মন্তব্যই নয়, একাধিকবার প্রাণের হুমকিও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবু স্পষ্টভাষায় নুসরত বারবার বলেছেন, তাঁর পোশাক বা রুচি কেউ ঠিক করে দিতে পারেন না।
সম্প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নাকি স্বামী নিখিলের ফ্ল্যাট ছেড়েছেন তিনি। অন্যদিকে ইন্ডাস্ট্রিতে নুসরত ও যশের সম্পর্ক নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। সম্প্রতি তাঁদের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় শাঁখা সিঁদুর পরে, গোলাপি কাঞ্জিভরম গায়ে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে যশের সঙ্গে গিয়েছেন নুসরত। সেই ভিডিওতে দেখা যায় মদন মিত্রকেও। পরে যদিও জানা যায় ভিডিওটি পুরনো। তাতে অবশ্য জল পড়েনি জল্পনায়।
ফটোশ্যুটের কমেন্টে অশ্লীল মন্তব্য নিয়ে অবশ্য এখনও নিরব নায়িকা।