কলকাতা: এবারের জন্মদিনটা একটু অন্যরকম। গোটা পুজো কাজের চাপে প্রায় ছুটিই পাননি। আর তাই জন্মদিনটা বাড়িতে কাটানোর পরিকল্পনাই করেছিলেন তিনি। তবে বাড়ি যাওয়ার আগে হঠাৎই চেতলায় গিয়ে হাজির হয়েছিলেন মধুমিতা সরকার। চেতলা কেন? কারণ সেখানকার পথশিশুদের নিয়ে একটা ছোট্ট আয়োজন করেছিল মধুমিতার টিম। তাঁদের সঙ্গেই কেক কেটে জন্মদিন পালন করলেন মধুমিতা।


চেতলা এলাকায় থাকা বস্তিবাসী অনেক শিশুরা এদিন এসেছিল মধুমিতার জন্মদিন উদযাপনে। মধুমিতার হাতেও তুলে দেওয়া হয় হাতে আঁকা জন্মদিনের কার্ড ও ফুল। আর মধুমিতা? তিনি হাজির হয়েছিলেন প্রচুর উপহার ও চকোলেট নিয়ে। ছোটদের মধ্যে সেই সমস্ত জিনিস ভাগ করে দেন অভিনেত্রী। প্রিয় অভিনেত্রীকে তাদের মধ্যে পেয়ে উচ্ছসিত ছোটরাও। তারাও গল্প জমায় মধুমিতার সঙ্গে। আর নায়িকাও যেন তাদেরও একজন, গল্প করতে করতে বসে পড়েন মাটিতেই। জোর সময় ছুটি পাননি অভিনেত্রী। আর তাই জন্মদিনে মা-বাবার সঙ্গে চম্পাহাটি চলে গিয়েছেন তিনি। আজকের দিনটা পরিবারের সঙ্গেই উদযাপন করছেন মধুমিতা। মায়ের হাতের পায়েস, পোলাও আর মাংস ছিল জন্মদিনের মেনুতে। টলিউডের ব্যস্ত অভিনেত্রীর আজকের দিনটা কাটল পরিবারকে ঘিরেই।


অন্যদিকে মধুমিতার জন্মদিন উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় খাবার বিতরণ করা হয়। এই কাজের উদ্যোগ নিয়েছিলেন মধুমিতার ফ্যানক্লাবের সদস্যরা। খাবার বিতরণ করা হয় রাস্তার কুকুরদের জন্যও। কেবল কলকাতা নয়, বাংলাদেশের ঢাকায়ও করা হয়েছিল এই আয়োজন। ফুটপাতবাসী বহু মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয় খাবারের প্যাকেট। একই আয়োজন করা হয়েছিল রানাঘাট ও শিলিগুড়িতেও। এই কাজে যাঁরা এগিয়ে এসেছিলেন, মধুমিতা ও টিমের তরফ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয় সবাইকেই। মূলত মধুমিতার ফ্যানক্লাবের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। খাওয়ানো হয় রাস্তার সারমেয়দেরও।


অভিনয়ের ব্যস্ততা থেকে দূরে সরে একটু অন্যরকম জন্মদিন কাটালেন অভিনেত্রী। সঙ্গী হল মায়ের হাতের পোলাও, মাংস, পায়েস আর প্রিয়জনেদের ভালোবাসা। অনুরাগীরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেত্রীকে।