মুম্বই: আলাউদ্দিন খিলজিকে পদ্মাবতে ফুটিয়ে তুলতে নিজের জীবনযাত্রাই পুরোপুরি বদলে ফেলেন রণবীর সিংহ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই জানিয়েছেন সে কথা।


আলাউদ্দিন চিতোরের রানি পদ্মিনীর প্রেমে উন্মাদ ছিলেন। সেই উন্মাদনা ফুটিয়ে তুলতে রণবীর মানসিকভাবে একটি অন্ধকার জায়গায় চলে যান। গোরেগাঁওয়ে নিজের বাড়িতে ২১ দিন একটি ঘরে নিজেকে আটকে রাখেন তিনি। সকলের থেকে সে সময়টা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিলেন।

ছবিতে আলাউদ্দিনের ভূমিকায় তাঁর অভিনয় উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। তাতে রণবীর খুশি। তিনি জানিয়েছেন, পর্দায় আলাউদ্দিনের কামনা, লোভ ও দুর্নিবার আকাঙ্খা তুলে ধরতে তাঁকে নিজের ক্ষমতার চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছতে হয়।

রণবীর জানিয়েছেন, এই প্রচণ্ড প্রচেষ্টার কারণ, আলাউদ্দিনের সঙ্গে মানসিকভাবে তিনি একাত্ম হতে পারছিলেন না। বুঝতে পারছিলেন না আলাউদ্দিনের লোভ, উচ্চাকাঙ্খা ও সে জন্য কোনও পদক্ষেপ করতে পিছপা না হওয়া চরিত্র। নিজের অন্ধকার দিক নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেন কিন্তু মধ্যযুগীয় পাঠান শাসক তখনও তাঁর ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।

এই সময়টা তাই আলাউদ্দিনের মত চেহারা, গলার স্বর ও হাঁটাচলা আয়ত্ত করার চেষ্টা করেন তিনি।

রণবীর বলেছেন, তাঁর নিজস্ব কিছু অভিজ্ঞতা আছে, যেগুলি অত্যন্ত ব্যক্তিগত, তিনি সে সব নিজের বিবেকের অভ্যন্তরে গোপন রাখতে চান। কিন্তু আলাউদ্দিনের চরিত্র চিত্রণ করতে সেই সব অভিজ্ঞতা স্মৃতি খুঁড়ে বার করে আনেন তিনি। সেই মুহূর্তগুলি তাঁর কাছে সুখের ছিল না। তিনি জানেন, মনের গোপনে অন্ধকার সুড়ঙ্গ কতটা খুঁড়তে হয়েছিল তাঁকে। সেই রসাতল তাঁর পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারত। আর তা হয়েওছিল। জানিয়েছেন রণবীর।