রাজস্থানের কট্টরপন্থী সংগঠন কর্ণি সেনা এক বিবৃতি দিয়ে বলে, ছবির চিত্রনাট্যে যদি বদল না হয়, তাহলে পদ্মিনীর চরিত্রে অভিনয় করা দীপিকার নাক কেটে নেওয়া হবে। এমনকি মেরঠের ঠাকুর নেতা, ঠাকুর অভিষেক সোম দীপিকার মাথার দাম ধার্য করেছেন পাঁচ কোটি। এবার টুইটারে সেই আক্রমণের জবাব দিলেন দীপিকা। টুইটে দীপিকা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে অনেক নীচে নেমে গিয়েছে আমাদের দেশ। এখানে কারও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। এই সমস্ত দেখে তাঁর মারাত্মক রাগ হচ্ছে, নিজেকে অসম্মানিত মনে হচ্ছে। তবে একইসঙ্গে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিদের কার্যকলাপকে হাস্যকরও মনে হচ্ছে। রানি পদ্মাবতীও যেমন শক্তি, সাহসের দূত ছিলেন, ঠিক তেমনই এই ক্রমাগত চলা বিক্ষোভের মুখে ফুঁসে উঠলেন দীপিকা। তবে অভিনেত্রীর দেশের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার ওপর যথেষ্ট বিশ্বাস আছে। তিনি মনে করেন, কেউ যদি আইন নিজের হাতে তুলে নেন, তাহলে তাঁরা উচিত শিক্ষা অবশ্যই পাবেন। তবে মহিলা হিসেবে, একজন শিল্পী হিসেবে তিনি খুবই ক্ষুব্ধ। যদিও এধরনের হুমকিতে তিনি মোটেই ভয় পান না।
এদিকে বনশালির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, যে তিনি ছবিতে পদ্মিনী এবং আলাউদ্দিন খিলজির মধ্যে একটি প্রেমের স্বপ্নের দৃশ্যের শ্যুট করেছেন, সেপ্রসঙ্গে পরিচালকের দাবি, এমন কোনও দৃশ্যই নেই ছবিতে। পুরোটাই কিছু কট্টরপন্থী সংগঠনের মস্তিষ্কপ্রসূত। তবে একজন শিল্পী হিসেবে সৃষ্টিশীল কাজ দর্শককে উপহার দেওয়াটা কর্তব্য বলে মনে করেন দীপিকা। অভিনেত্রীর মত, এই ছবিটি দেখলে প্রত্যেক ভারতীয় গর্ববোধ করতেন। রানি পদ্মাবতীর কথা সকলের জানা উচিত। ছবিতে জহ্বর ব্রতের দৃশ্যটি শ্যুট করতে গিয়ে দীপিকাকে তাঁর ভেতর থেকে সেই রাগ, শক্তির উদ্রেক ঘটাতে হয়েছিল। যা এখনও মনে পড়লে অভিনেত্রীর মনে কাঁটা দেয়। তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম সেরা দৃশ্যের শ্যুট তিনি এই ছবিতে করেছেন, দাবি প্রকাশ পাড়ুকোন কন্যার।
তবে আপাতত সমস্ত বিতর্কের জট কাটিয়ে পয়লা ডিসেম্বর মুক্তি পায় কিনা এই ছবি, সেদিকেই চোখ সকলের।