প্রসঙ্গত, পেশোয়ার শহরেই রাজ কপূরের পারিবারিক হাভেলি ও জন্মস্থান, দিলীপ কুমারেরও তাই। দেশভাগের পর তাঁরা ভারতে এসে হিন্দি ফিল্মে অভিনয় করে মন জিতেছেন মানুষের। গত সেপ্টেম্বরে বাড়ি দু’টি কিনে নিয়ে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয় খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক সরকার। ঠিক হয়, স্মারক ভবন তৈরি করা হবে অট্টালিকা দুটিকে। সরকারের পুরাতত্ব বিভাগের উপরে দায়িত্ব দেওয়া হয় জীর্ণ বাড়ি দুটির সংরক্ষণের। এজন্য অর্থও বরাদ্দ করা হয়।
দুটি বাড়িই পেশোয়ারের কিসসা খোয়ানি বাজারে। দুটি বাড়িই ভগ্নপ্রায়। দিলীপ কুমারের পারিবারিক বাড়িটির অবস্থা বেশি খারাপ। ২০১৪-য় বাড়িটিকে জাতীয় ঐতিহ্যবাহী ভবন বলে ঘোষণা করেছিল নওয়াজ় শরিফ সরকার। কিন্তু তার পরেও বিপদ কাটেনি। বাড়িটির দখলদারেরা প্রোমোটারের সঙ্গে মিলে সেটি ভেঙে ফেলে সেখানে নতুন অট্টালিকা তুলতে চান। পুরাতত্ত্ব বিভাগ এখন সেটি সংরক্ষণে উদ্যোগী হওয়ায় তাঁরা ক্ষতিপূরণ চাইছেন।
খানিক দূরেই কপূর হাভেলি। ১৯১৮ থেকে ১৯২২-এর মধ্যে তৈরি এই বাড়িতেই জন্ম রাজ কপূরের। মৃত্যুর আগে ঋষি কপূর পাকিস্তান সরকারকে চিঠি দিয়ে বাড়িটি সংস্কার করে জাদুঘর তৈরির প্রস্তাব দেন। পাক সরকার তা গ্রহণ করে। বাড়ির বর্তমান মালিক আলি কাদের জানান, কপূর হাভেলি ভেঙে ফেলার কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই। কিন্তু বাড়িটি পেশোয়ারের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় তার দাম অনেক। সরকার চাইলে তিনি বাড়িটি বিক্রি করে দিতে তৈরি, কিন্তু তার জন্য অন্তত ২০০ কোটি টাকা তাঁর চাই। সেই থেকেই শুরু হয়ে যায় দুটি বাড়িই মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া। সেই কাজটি এবার সাঙ্গ হল। এখন চলবে সারানো ও সংরক্ষণের কাজ।