কলকাতা: কৃষি আন্দোলনের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের কৃষক-বিরোধী নীতি ইস্যুতে গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, কৃষকদের আন্দোলনের পাশে তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে।


এদিন মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশর সভাস্থল থেকে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে সর্বস্তরের মানুষের একজোট হওয়া প্রয়োজন।


এই প্রেক্ষিতে সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়কার তাঁর অনশনের কথা মনে করিয়ে মমতা বলেন, কৃষক-স্বার্থে ২৬ দিন অনশন করেছিলাম ধর্মতলার মোড়ে। প্রতিজ্ঞা ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণ করতে দেব না। মৃত্যু-মুখে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে গেছি।’


তিনি জানিয়ে দেন, ‘কৃষকদের আন্দোলনের পাশে তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে। বলেন, ‘কেন্দ্রের ৩টি আইনই কৃষক বিরোধী। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আইনে পরিবর্তনের কারণেই দামবৃদ্ধি। আগে রাজ্য সরকার আগু-পেঁয়াজ কিনে মজুত করত। সঙ্কটের সময় কমদামে বিক্রি করত। গরমকালে বাজারে আলুর সঙ্কট দেখা দেবে।’


এদিন নতুন সংসদ ভবনের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই নিয়েও আক্রমণের সুর চড়ান মমতা। বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে নতুন সংসদ ভবন বানাচ্ছেন। ওই টাকা কৃষকদের দেওয়া উচিত ছিল।’


তৃণমূলনেত্রী মনে করিয়ে দিলেন, কেন্দ্রের কৃষক-বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। বলেন, ‘বিজেপি চায় দেশে তারা একা থাকবে, আর কেউ থাকবে না। মজুতে ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিয়ে মজুতদারদের সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চলবে।’


কেন্দ্র সরকারকে উদ্ধত বলে কটাক্ষ করে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, ‘মোদি সরকার গণতন্ত্র, সংবিধান মানছে না। রাজীব গাঁধী ৪০০ সাংসদ নিয়েও ঔদ্ধত্য দেখাননি। ৩০০ সাংসদ নিয়ে মোদি যা ইচ্ছে তাই করছেন।’


একইসঙ্গে আক্রমণ করেন বিজেপিকেও। মমতা বলেন, ‘বিজেপি বাংলার রাজনৈতিক দল নয়। বিজেপি দিল্লি এবং গুজরাটের দল। গ্রামে বাইরের কাউকে দেখলেই থানায় জানান।’


বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তৃণমূলনেত্রীর হুঙ্কার, ‘গোটা বিজেপি দল, কেন্দ্র সরকার একদিকে, আমি একা একদিকে। দেখিয়ে দেব কার কত জোর।’