মুম্বই: শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan), জন আব্রাহাম (John Abraham) ও দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone) অভিনীত 'পাঠান' (Pathaan) বক্স অফিসে রেকর্ড (Box Office Collection) ভেঙে চলেছে একের পর এক। আর সেই বাঁধ ভাঙা ব্যবসা কেবল দেশেই নয়, চলছে বিদেশেও। বিশ্বজুড়ে এই ছবির ব্যবসা খুব দ্রুত পৌঁছতে চলেছে ৬০০ কোটির ক্লাবে, তাও মাত্র ৬ দিনে।
বাঁধ ভাঙা 'পাঠান'
২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ছবি 'পাঠান'। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বাজারে এই ছবি ৫৯১ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। ষষ্ঠ দিনে এই ছবির দেশে ২৬.৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। এর মধ্যে হিন্দি সংস্করণের ব্যবসার পরিমাণ ২৫.৫০ কোটি, ও তামিল ও তেলুগু সংস্করণের ব্যবসার পরিমাণ ১ কোটি টাকা। অন্যদিকে দেশের বাইরে ষষ্ঠ দিনে এই ছবি ১৬ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। মাত্র ৬ দিনে এই ছবি ২৭.৫৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২২৪.৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে ভারতে এই ছবির মোট আয় ৩০৭.২৫ কোটি টাকা যার মধ্যে হিন্দি সংস্করণের আয়ের পরিমাণ ২৯৬.৫০ কোটি ও তামিল-তেলুগু সংস্করণের ছবির পরিমাণ ১০.৭৫ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, বিদেশের বাজারেই নয়, দেশেও এমনকী হিন্দি ছবির ক্ষেত্রেও নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে এই ছবি। এদিন ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে দুটি পোস্ট করেছেন। একটিতে তিনি তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন যে, কোন হিন্দি ছবি কত দিনের মাথায় গিয়ে ৩০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছেছে। এই তালিকা অনুযায়ী, মাত্র ৭ দিনেই ৩০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছে গিয়েছে 'পাঠান'। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে 'বাহুবলী ২'-এর হিন্দি সংস্করণ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে 'কেজিএফ ২'-এর হিন্দি সংস্করণ। চতুর্থ স্থানে আমির খানের 'দঙ্গল'। পঞ্চম স্থানে 'সঞ্জু'। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে 'টাইগার জিন্দা হ্যায়'। সপ্তম স্থানে রয়েছে 'পিকে'। অষ্টম স্থানে রয়েছে 'ওয়ার'। নবম স্থানে রয়েছে 'বজরঙ্গী ভাইজান'। দশম স্থানে রয়েছে 'সুলতান'। 'পাঠান' যেখানে ৭ দিনেই ৩০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছে গিয়েছে, সেখানে নিকটতম স্থানে রয়েছে 'বাহুবলী ২'-এর হিন্দি সংস্করণ যা ১০ দিনে ৩০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছেছিল।
গতকাল প্রথমবার মিডিয়ার মুখোমুখি হয় ছবির গোটা টিম। সেখানে কিং খান বলেন, 'আমার শেষ ছবি 'জিরো' যখন মানুষের পছন্দ হল না, আমার মাথায় একটা অন্য চিন্তা এল। মানুষের হাবভাব দেখে আমার মনে হয়েছিল, হয়তো আর কখনও আমার ছবি ব্যবসা করতে পারবে না। মানুষের ভাল লাগবে না। আমার মনে হয়েছিল বিকল্প পেশা ভাবা উচিত আমার। হয়তো একটা রেস্তোরাঁ খোলা উচিত। সেই কথা মাথায় রেখে রান্নাও শিখেছিলাম। ইতালিয়ান বানানো শিখেছিলাম। কোথাও না কোথাও গিয়ে আমরা সবাই একই।'