উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও আশাবুল হোসেন, উত্তর দিনাজপুর ও মালদা: 


জগন্নাথের রথযাত্রার প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির রথযাত্রাকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর দিনাজপুর থেকে মালদা - দুই জনসভাতেই বিজেপির রথকে কটাক্ষ করতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করলেন তৃণমূল নেত্রী।


রায়গঞ্জের সভা থেকে বললেন, রথে বিজেপির নেতারা কেন থাকবে, তাঁরা কি জগন্নাথ-বলরামের থেকেও বড়? যুদ্ধের সময় রথ হয়। কৃষ্ণ অর্জুনের রথ টানতেন। দেবতারা সব চলে গেল, তার জায়গায় এরা এল। রাবণ সীতাকে হরণ করে নিয়ে যাচ্ছে দেখেছি- সেটা যুদ্ধের-রাবণবধ। রামায়ণ-মহাভারত দুই ক্ষেত্রেই রথ আছে।


পরে মালদার সভা থেকেও আক্রমণ শানান তৃণমূলনেত্রী। বলেন, রথযাত্রা পুরীতে হয়। আমি ইস্কনের রথ টানি। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা থাকে রথে। রথযাত্রাকে সম্মান করি কিন্তু আপনাদের সম্মান করি। রথযাত্রাকে পুজো করি। আপনাদের পুজো করি না। এরা কী করে? বিজেপির নেতারা জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা সেজেছে। নিজেই নিজেকে শ্রীকৃষ্ণ, অর্জুন বলছে। কৃষ্ণ অর্জুনের রথ টানতেন। দেবতারা সব চলে গেল, তার জায়গায় এরা এল।


বিজেপির রথকে আক্রমণ করতে এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, এরা কী করছে? এরা জগন্নাথের রথকে কালিমালিপ্ত করেছে। রথে বিরিয়ানি, মাংস-পোলাও, কাবাব হচ্ছে। সাজ-বিশ্রাম-গানা থেকে শুরু করে সব রেডি। যেমন ১০ স্টার হোটেলে পাওয়া যায়। রথ সম্মানের জিনিস। আমরা রথকে ভালবাসি, শ্রদ্ধা করি। বিজেপির নেতারা বড় বাসের মধ্যে হোটেল বানিয়েছে। ১০ তলার সমান রথ তৈরি করে খাচ্ছে দাচ্ছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। টাকার তো কমতি নেই। সব টাকা সারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চালনি আজ সূচ হয়ে গেছে।


ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগে সরব হন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বলেন, সরস্বতী পুজো করতে দেয় না। মহরম করতে দেয়। রাম মন্দিরের শিলান্যাসের দিন বাংলায় কার্ফু করেছিল। 


সেই ধর্মের প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।  এদিন তিনি বলেন, তিলক কেটে ধর্মকে ভালবাসি বললে হয় না। আগে মানুষকে ভালবাসতে হয় যারা দাঙ্গা করে, মানুষের রক্ত নিয়ে খেলে- তাদের মুখে ধর্ম মানায় না। ধর্মের নামে অধর্ম করেছে। ধর্মকে নিয়ে অসম্মান করা যায় না। আপনারা যেভাবে হিন্দু ধর্মকে অসম্মান করছেন, এভাবে চলবে না।