কলকাতা: তাঁকে ঘিরে রোজ নিত্যনতুন বিতর্ক। কখনও তাঁর করা অভিযোগের ভিত্তিতে, আবার কখনও অভিযোগের তীর থাকে তাঁর দিকেই। তিনি পরীমণি। বাংলাদেশের অত্যন্ত পরিচিত অভিনেত্রী। বর্তমানে বেআইনি মাদক দ্রব্য-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন বাংলাদেশের নায়িকা।


পরীমণিকে নিয়ে বিতর্কে ইতিমধ্যেই উত্তাল বাংলাদেশ। গত সপ্তাহেই তাঁর বাড়িতে মাদক এবং মদ পাওয়ার পর র‌্যাব অর্থাৎ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন আটক করেছে এই অভিনেত্রীকে। আর তার পর থেকে নিন্দা, সমালোচনায় জর্জরিত পরীমণি। রোজই নতুন নতুন খবর, আর শিরোনামে থাকছেন তিনিই। 


আজ পরীমণিকে আদালতে পেশ করা হলেও জামিন পেলেন না তিনি। বরং মাদক মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আরও ২ দিনের সময় চাইল পুলিশ। চার দিনের রিমান্ডে যেতে হল পরীমণিকে। পরীমণির সঙ্গেই আজ আদালতে পেশ করা হয় তাঁর সহায়ক আসরফুল ইসলাম দীপু, প্রযোজক রাজ ও তাঁর ম্যানেজার সবুজকে। আজ সকাল ১১.৪৫ নাগাদ মালিবাগ সিআইডি দফতর থেকে আলাদতে পেশ করা হয় তাঁদের।


'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমি পরীমণি। আমার পেশা চলচ্চিত্র। আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে ধর্ষণ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। আমি মেয়ে, আমি নায়িকা, তার আগে আমি মানুষ। আমি চুপ করে থাকতে পারি না। মা আমি বাচঁতে চাই...' সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল জুড়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা লম্বা এক চিঠি। বিস্ফোরকও বটে। লেখিকা, বাংলাদেশের পরিচিত নায়িকা পরীমণি। ঠিক এই বয়ানেই কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন পরীমণি। তাঁর অভিযোগ ছিল তাঁকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। পরীমণির অভিযোগের ভিত্তিতে যেসময় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও গত জুলাই মাসে তাঁরা জামিনে মুক্ত হন।


সেসময় পরীমণি আরও জানিয়েছিলেন, ঘটনাটি ঘটেছে ৫ দিন আগে। সঙ্গে সঙ্গেই থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও রকম সাহায্য মেলেনি সেখান থেকে। ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক থানায় নেই বলে পরীমণি এবং তাঁর সঙ্গীদের ফিরে আসতে হয়। তাঁকে পরে ফোন করা হবে বলে থানা থেকে আশ্বস্তও করা হয়। কিন্তু ৪ দিন বাদেও কোনও ফোন না আসায় তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের কাছে এই কথাগুলি জানিয়েছিলেন তিনি।