মুম্বই: হিন্দি টিভি সিরিয়ালের অত্যন্ত জনপ্রিয় নাম একতা কপূর। বছরের পর বছর দর্শককে টিভির সামনে বসিয়ে রেখেছেন তিনি। উপহার দিয়েছেন একাধিক সিরিয়াল। টেলিভিশন দুনিয়ায় নিয়ে এসেছেন নতুন নতুন প্রতিভা। টিভি সিরিয়াল থেকে টিভি শো-তে জায়গা করে নিয়েছেন তাঁরা। কেরিয়ারে সাফল্যের পাশাপাশি বিতর্কেও জড়িয়েছেন তিনি। সিঙ্গল মাদার থেকে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক নিয়েও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চর্চা হয়েছে একাধিকবার।


একতা কপূর স্পেশাল সামওয়ান ক্যাপশন লিখে ছবি পোস্ট করেন। ডিং এন্টারটেইনমেন্টের তনবীর বুকওয়ালার সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন তিনি। আর তাতে তনবীরের সঙ্গে একতার বিয়ে নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। একতা লিখেছিলেন আমরা খুব তাড়াতাড়ি সব জানাব। তনবীর কমেন্টে লেখেন, এই বন্ধুত্বকে সম্পর্ক পরিণত করার সময় এসে গিয়েছে।

বিতর্ক তৈরি হয় ট্রিপল এক্স সিজন ২-তে। সেনাবাহিনীর উর্দি ছিঁড়ে ফেলা হয়। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। একতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সোশাল মিডিয়ায় ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয় একতাকে। পরে তিনি বিবৃতি জারি করে বলেন, আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগতভাবে, সংগঠিতভাবে ভারতীয় সেনাকে শ্রদ্ধা জানানো উচিত। আমরা ওই ভিডিও মুছে ফেলেছি। কারোর ভাবাবেগে এই ভিডিও আঘাত করে থাকলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।

রাজীব খান্দেলওয়ালের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন একতা কপূর। একতার বালাজি টেলিফিল্মেই কাজ করতেন। কিন্তু একতার সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। রাজিব সাফ জানিয়েছিলেন, কেরিয়ারে উন্নতি করার জন্য একতাকে দরকার নেই। একতাও বলেছিলেন তিনি রাজীবের সঙ্গে কাজ করবেন না।

কিউ কি সাস ভি কভি বহু থি অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল। বহু বছর ধরে দর্শকদের মন জয় করেছে এই সিরিয়াল। একতার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হওয়ায় সেট ছেড়ে চলে যান স্মৃতি ইরানি। ওই চরিত্রের জন্য গৌতমী কপূরকে বেছে নেওয়া হয়। যার জেরে পড়ে যায় টিআরপি। ২০০৮ সালে ফের ওই চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন স্মৃতি ইরানি।

এখানেই শেষ না। সিঙ্গল মাদার হওয়ার জন্যও তাঁকে নিয়ে কম চর্চা হয়নি। সোশাল মিডিয়ায় নিজেই জানিয়েছিলেন, সারোগেসি পদ্ধতিতে সিঙ্গল মাদার হয়েছেন তিনি। একতা বলেন, এটা আমার এবং আমার পরিবারের জন্য অত্যন্ত আবেগঘন মুহূর্ত। মা হিসেবে নতুন পথ চলার শুরু।