সূত্রের খবর, শেষবার যখন প্রত্যুষা রাহুল রাজের সঙ্গে মিনিট তিনেকের জন্যে ফোনে কথা বলেছিলেন, তখন অভিনেত্রীর রাহুলের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। 'বালিকা বধূ' খ্যাত 'আনন্দী' তারপর রাহুলকে বলেছিলেন, তিনি এখানে কাজ করতে এসেছিলেন, অভিনয় করতে এসেছিলেন। কিন্তু এখানে তাঁকে কি কাজ করতে বাধ্য করছেন রাহুল, তাই মারাত্মক বিরক্ত ছিলেন প্রত্যুষা।
প্রত্যুষার আইনজীবীর দাবি, এই টেলিফোন কথপোকথন থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার রাহুল প্রত্যুষাকে জোর করে দেহব্যবসায় নামিয়েছিলেন। কারণ কথপোকথনের শেষে 'প্রস্টিটিউশন' কথাটি উচ্চারণ করেছিলেন প্রত্যুষা।
এই বছর এপ্রিলে 'বালিকা বধূ' খ্যাত এই অভিনেত্রী গোরেগাঁওয়ে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এরপরই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় প্রত্যুষার বয়ফ্রেন্ডকে। এখন তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তবে এই কথপোকথন প্রসঙ্গে রাহুল জানিয়েছেন, এখানে এমন কিছু তথ্য সামনে আসেনি, যা নতুন। সকলেই সবকিছু জানেন। রাহুল এরপর পাল্টা অভিযোগ করেন, প্রত্যুষার বাবা-মা চাইত তিনি যেভাবেই হোক টাকা রোগজার করুক। প্রত্যুষার অভিযোগ ছিল তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে, দাবি রাহুলের।
তবে ওই টেলিফোন কথপোকথনেরই দ্বিতীয় অংশে দেখা গিয়েছে, প্রত্যুষা রাহুলকে বলছেন, 'তুমি আমার নাম ব্যবহার করছ। আমার বাবা-মায়ের নামে মিথ্যা রটনা করছ'।
প্রত্যুষার আইনজীবীর দাবি, কার্যত পুলিশ মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই তিনি নতুন করে তদন্ত শুরুর আর্জি করবেন বলে ভাবনা-চিন্তা করছেন।