তাঁর আবেদন খারিজ করে দিল বম্বে হাইকোর্ট। যদিও প্রত্যুষার মায়ের দায়ের করা পিটিশন বিচারাধীন অবস্থায় রেখেছে কোর্ট। এব্যাপারে তদন্ত কতটা এগিয়েছে তার একটি রিপোর্ট ৪ মে-র মধ্যে বাঙ্গুর নগর পুলিশকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি এনএইচ পাতিল এবং বিচারপতি এএম বদরের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সমস্ত রেকর্ড ও তদন্তের নথি দেখে তবে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন, এই তদন্তভার হস্তান্তরিত করা হবে কিনা। তাঁরা আরও বলেন, পুলিশ কোনও অন্যায়, বেঠিক তদন্ত করছে বলে তাঁরা মনেও করেন না।
কোর্ট জানিয়েছে, পুলিশ সঠিক পথেই তদন্ত করছে। সমস্ত মামলার তদন্তেই কিছুটা সময় লাগে। বিশেষত এই ধরনের ক্ষেত্রে, যেখানে কোনও সরাসরি প্রমাণ নেই। এক্ষেত্রে পুলিশের কাছে কাজ করাটা বেশ চাপের।
কিন্তু সোমার আইনজীবী কে টি থমাস বলেন, এই তদন্তভার স্থানীয় পুলিশ করায়, তাঁরা ভয় পাচ্ছেন, ভবিষ্যতে তা বাধা পেতে পারে।
সোমা পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, তাঁর অনুমান, খুন করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে।
সরকারি কৌঁশলি সন্দূপ সিন্ডে জানিয়েছেন, ২৬ জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। প্রত্যুষা ও রাহুল দুজনেরই মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিক পরীক্ষায় প্রত্যুষা সন্তানসম্ভবা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
এপ্রসঙ্গে শিন্ডে জানান, প্রত্যুষা এক চিকিতসকের কাছে গিয়েছিলেন। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে।