মুম্বই: প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। চেনার জন্য এই নামটাই যথেষ্ট। জাতীয় পুরষ্কার, ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, পদ্মশ্রী থেকে শুরু করে টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের সেরা ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে নাম, ফোর্বসের তালিকায় বিশ্বের ১০০ জন শক্তিশালী মহিলাদের মধ্যে নাম, কী নেই তাঁর ঝুলিতে! শুধু তাই নয়, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া ভারতের সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতাদের মধ্যেও একজন। ২০০০ সালে মিস ওয়ার্ল্ড প্যাজেন্ট জেতা দিয়ে শুরু করে আজ তিনি শুধু একজন মডেল কিংবা অভিনেত্রীই নন, পাশাপাশি ছবি প্রযোজনা থেকে গান গাওয়া সবই করছেন। বলিউডের পাশাপাশি বেশ কিছু হলিউড ছবিতেও অভিনয় করেছেন ৩৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী। আজ জন্মদিনে দেখে নেওয়া যাক প্রিয়ঙ্কা চোপড়া সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য। 


বলিউডে কোনও গড ফাদার ছিল না প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার। যা করেছেন নিজের দক্ষতাতেই অর্জন করেছেন। গর্বের সঙ্গে বহুবার এই কথাটা শোনা যায় প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মুখে। কিন্তু তিনি ছেলেবেলা থেকেই কি অভিনেত্রী বা নায়িকা হতে চেয়েছিলেন? প্রশ্ন যদি আপনার এটা হয়, তাহলে উত্তর হবে, না। মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব জেতার আগে পর্যন্ত প্রিয়ঙ্কা চোপড়া কোনওদিনও ভাবেননি যে তিনি অভিনেত্রী হবেন। বরং, তাঁর স্বপ্ন ছিল তিনি একজন এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হবেন। কিন্তু ভাগ্যে যা লেখা আছে, তা তো হবেই। অভিনেত্রীর ভাই তাঁর নাম মিস ইন্ডিয়া বিউটি প্য়াজেন্টে লিখিয়ে দেন। ব্যস, তার পর থেকেই তাঁর জীবন বদলে যায়। 


প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার অভিনীত প্রথম ছবি কী? জিজ্ঞাসা করলে অনেকেই বলবেন ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া 'দ্য হিরো, লাভ স্টোরি অফ আ স্পাই'। বলিউডে এই ছবি দিয়েই ডেবিউ করেন অভিনেত্রী। কিন্তু আপনার এই উত্তরটা একেবারেই সঠিক নয়। প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার প্রথম ছবি হিন্দি নয় বা বলিউড ছবি দিয়ে তিনি তাঁর অ্যাকটিং কেরিয়ার শুরু করেননি। ২০০২ সালে মুক্তি পাওয়া তামিল ছবি 'থামিজান' দিয়ে তিনি অভিনয় শুরু করেন। বিপরীতে ছিলেন দক্ষিণী তারকা বিজয়।


বলিউড থেকে হলিউড স্টার। বিনোদনের জগতে কোনও গড ফাদার ছাড়া অনেক স্ট্রাগল করে তবে আজ এই জায়গাটাতে পৌঁছতে পেরেছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। তাই তিনি বোঝেন যাঁরা কোনও গড ফাদার ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন আসেন, তাঁদের কতটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তাই তিনি মা মধু চোপড়ার সঙ্গে ২০১৫ সালে একটি প্রযোজনা সংস্থা খোলেন। নাম দেন 'পার্পল পেবল পিকচার্স'। যেখানে নতুন প্রতিভাদের কাজের সুযোগ করে দেন অভিনেত্রী।


একজন দক্ষ অভিনেত্রী ছাড়াও অন্যের সমস্যা সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া । তিনি শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন। তাঁর সংস্থা 'দ্য প্রিয়ঙ্কা চোপড়া ফাউন্ডেশন ফর হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন'-এ যাবতীয় সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত শিশুদের স্বাস্থ্য এবং পড়াশোনার জন্যও কাজ করেন। অনেকেরই ধারণা এটা যে, নিক জোনাসের সঙ্গে মেট গালায় প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সাক্ষাৎ হয়। তারপর থেকেই তাঁদের প্রেম কাহিনি শুরু হয়। কিন্তু আসল সত্যিটা হচ্ছে, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এবং নিক জোনাসের প্রেম পর্বটা শুরু হয় টুইটারের মাধ্যমে। অবাক হওয়ার আরও ঘটনা রয়েছে। বিদেশে জীবনযাপনের পরও সাংঘাতিক 'দেশি গার্ল' প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। খাবারের পাশে আচার না থাকলে তাঁর মোটেই চলে না। প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার সবথেকে পছন্দের গান 'দলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে' ছবির 'মেরে খাবো মে যো আয়ে'। কৈশরের দিনগুলোও স্কুলে যাওয়ার আগে কয়েক মিনিট তিনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কাজল হয়ে যেতেন এবং কাজলের ভূমিকায় অভিনয়ও করতেন।