মুম্বই:    প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তির জন্য শুভেচ্ছা দূতের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তানের মানবাধিকার মন্ত্রক। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত মন্তব্যের অধিকার রয়েছে প্রিয়ঙ্কার।উল্লেখ্য,  গত বুধবার ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিয়েটা এইচ ফোরেকে লেখা চিঠিতে পাক মানবাধিকারমন্ত্রী শিরিন মাজারি বলেন, বলিউড অভিনেত্রী ভারত সরকারের কাশ্মীর নীতিকে সমর্থন করছেন। মাজারি অভিযোগ করেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘পরমাণু যুদ্ধ’র পক্ষে সওয়াল করছেন।


উল্লেখ্য, সম্প্রতি আমেরিকায় এক অনুষ্ঠানে এক পাক মহিলা প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে আক্রোশ উগরে দেন। ওই মহিলা অভিযোগ করেন, প্রিয়ঙ্কা তাঁর দেশের বিরুদ্ধে ‘পরমাণু যুদ্ধ’কে উত্সাহিত করছেন।

এর জবাব  প্রিয়ঙ্কা বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধবিলাসী নন, তবে একজন দেশপ্রেমিক।

এই ঘটনার কয়েকদিন পর প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জে নালিশ করেছিলেন পাক মন্ত্রী। যদিও রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে পাকমন্ত্রীর দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটারেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের শুভেচ্ছা দূতেরা যখন ব্যক্তিগতভাবে কোনও মন্তব্য করেন, তখন তাঁদের নিজস্ব বিষয়ে মন্তব্য করার অধিকার রয়েছে। তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত বা কাজের সঙ্গে ইউনিসেফের সম্পর্ক নেই।

প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার পাশে দাঁড়ালেন আয়ুষ্মাণ খুরানা।  তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে দারুণভাবে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন প্রিয়ঙ্কা। একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আয়ুষ্মাণ বলেন, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া আমাদের দেশের দারুণ প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি শুধু ভারতীয় আইকন নন, আন্তর্জাতিক আইকনও। সেনা অফিসারের মেয়ে হিসেবে তিনি ভারতের খুব ভালো প্রতিনিধি।