কলকাতা: বলিউডের কাস্টিং নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। সম্প্রতি তিনি জানান, 'বলিউডে কাস্টিং নিয়ে রীতিমত রাজনীতি করা হয়। কে কোন শিবিরের তাও দেখা হয় কাস্টিং-এর ক্ষেত্রে। এসব যত শীঘ্র সম্ভব বন্ধ হওয়া উচিত। কাস্টিং একমাত্র যোগত্য় নির্ভর হওয়া উচিত।'


অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমি মনে করি সুযোগ এবং যোগ্যতা নিয়ে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমরা স্ট্রিমিংয়ের জগতে বাস করছি, আরও অনেক কিছু আছে। গত পাঁচ-দশ বছরে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি অনেকটাই বদলে গেছে। যাঁরা ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এসেছেন, তাঁদেরও অনেক প্রতিভা আছে, এটা মানতে হবে। লেখক, পরিচালক, অভিনেতা হওয়ার দক্ষতা ইন্ডাস্ট্রির বাইরের মানুষেরও থাকতে পারে । আমি মনে করি যে কর্মক্ষেত্রটি যোগ্যতাভিত্তিক হওয়া উচিত, কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ ইতিবাচক হওয়া উচিত।'


আরও পড়ুন...


Parineeti Chopra: গুজবের মধ্যেই রাঘব চাড্ডার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন পরিণীতি চোপড়া


প্রসঙ্গত, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এইমুহূর্তে একজন আর্ন্তর্জাতিক স্তরের অভিনেত্রী। কিছুদিন আগে তাঁকে নিয়ে একটি ট্য়ুইট করেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। লিউড কুইন তাঁর ট্য়ুইটারে লিখেছিলেন,'প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে দল বানিয়েছিল বলিউডের একাংশ, এঁদের মধ্য়ে অন্য়তম পরিচালক কর্ণ জোহর (Karan Johar) । প্রিয়ঙ্কাকে একজন স্বপ্রতিষ্ঠিত মহিলাকে এই মানুষগুলো বলিউড ছাড়তে বাধ্য় করেছিল।'


কঙ্গনা এখানে কর্ণ জোহর ও শাহরুখের প্রসঙ্গও তুলেছিলে। জানিয়েছিলেন, কর্ণ এবং শাহরুখ বন্ধুত্বের কথা সবসমই তুলে ধরা হয়, কিন্তু এঁদের সঙ্গে মিলে মুভি মাফিয়ারা দুর্বল বহিরাগতদের কোণঠাসা করে দেয়, এবং প্রিয়ঙ্কাকে ক্রমাগত হয়রানি করা হচ্ছিল। আর এই কারণেই ভারত ছাড়তে বাধ্য় হন তিনি।'


কর্ণ জোহরকে উদ্দেশ্য় করে কঙ্গনা জানিয়েছিলেন,'এই ঘৃণ্য, ঈর্ষান্বিত,এবং বিষাক্ত ব্যক্তিকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সংস্কৃতি এবং পরিবেশ নষ্ট করার জন্য দায়ী করা উচিত। তার গ্যাং এবং মাফিয়া পিআরকে বহিরাগতদের হয়রানির জন্য দায়ী করা উচিত। '


এই প্রসঙ্গে পিগি চপস জানিয়েছিলেন, বলিউডের একাংশ তাঁকে সিনেমায় কাস্ট করা বন্ধ করে দিয়েছিল। যদিও এমনটা কারা করেছিল সেই নাম তিনি জানাননি।


এর পাশাপাশি তিনি আরও জানান, “আমি এখন ভাবি আমি কোথায় আছি। আমি যা অনুভব করেছি তা প্রকাশ করতে আমি সক্ষম। যাঁরা আমার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল, আমি তাদের ক্ষমা করে দিয়ে, অনেক এগিয়ে গেছি।  এখন আমি শান্তিতে ভালভাবে কাজ করতে পারছি।  আর এই কারণেই আমি এবিষয়ে খোলামেলা ভাবে কথা বলতে পারছি।”