কলকাতা: হালকা বেগুনি পোশাকের ওপর অফ হোয়াইট জ্যাকেট, খোলা চুলে নজর কাড়ছে সোনালী হাইলাইটস। এসভিএফ ও জোশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসে অনেকের মধ্যেই নজর কাড়ছিলেন তিনি। তবে কেবল রুপে নয়, সেই সন্ধের অনুষ্ঠানের অন্যতম তারকা মুখ ছিলেন তিনিই। প্রিয়ঙ্কা সরকার (Priyanka Sarkar)।


করোনা পরিস্থিতির জন্য আটকে রয়েছে তাঁর একাধিক ছবির মুক্তি। তবে শ্যুটিং থেমে নেই। আগামী বছরে বেশ কয়েকটি নতুন ছবি ও ওয়েব সিরিজের মুখ্যভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন প্রিয়ঙ্কা। অভিনেত্রী বললেন, সামনেই আমার নতুন ছবি 'নির্ভয়া' মুক্তি পাচ্ছে। গল্পটা ভীষণ অন্যধরনের। এরপর 'কলকাতার হ্যারি' ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা। তবে এখনও দিন ঠিক হয়নি। আর কিছুদিন পরেই হইচই-এর 'মহাভারত মাডার্স'-এর শ্যুটিং শুরু করব।'


শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম পরিচালিত ছবি 'মানবজমিন' এ অভিনয় করছেন প্রিয়ঙ্কা, অন্যদিকে 'কিশমিশ' এর পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি 'চঙ চঙ'-এর গল্প আবর্তিত হওয়ার কথা প্রিয়ঙ্কাকে ঘিরেই। কিন্তু ইন্ডাস্টিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, প্রযোজকের সঙ্গে নায়িকার সমস্য়ার কারণে এই দুটি ছবির ভবিষ্যৎ প্রায় অনিশ্চিত। যদিও এবিপি লাইভকে প্রিয়ঙ্কা এদিন বলেন, 'করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য সবার মধ্য়েই একটা ভয় কাজ করছে। শ্যুটিংয়ের দিনও তাই ঠিক করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে আগামী বছরেই এই দুটি ছবির শ্যুটিং শুরু হয়ে যাবে।'


আর কয়েকটা দিন পরেই কালীপুজো। ছেলে সহজের সঙ্গে বিশেষ কোনও পরিকল্পনা রয়েছে? প্রিয়ঙ্কা হাসতে হাসতে বললেন, ' এখন উৎসবে আনন্দ করাটা হল যেটা ভালো লাগে সেটা করা। ওই এক-দুটো দিন হয়ত ডায়েট ভুলে গিয়ে পছন্দের খাবার খাব, সহজের বায়না শুনব। হয়তো একসঙ্গে সিনেমা দেখব বা উনো খেলব। সব মিলিয়ে ঘরোয়াভাবেই পুজো কাটানোর ইচ্ছা আছে।'


আর সব শিশুদের মতো ঘরবন্দি রয়েছে সহজও, চলছে অনলাইন ক্লাস। মা প্রিয়ঙ্কার দায়িত্ব বেড়েছে? অভিনেত্রী বলছেন, 'একটা সময় এটা নিয়ে খুব ভাবতাম। মনে হত বাচ্চাদের ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ছে। ছোটবেলায় আমরা স্কুলে গিয়ে খেলা করতাম, ঝগড়া করতাম, হিংসে করতাম, আবার নিজেরাই সব সমস্য়া মিটিয়ে নিতাম। এটাই তো স্বাভাবিক ছিল। সহজরা এই ছোটবেলাটা পাচ্ছে না। এখন তো বাচ্চারা সমবয়সীদের সঙ্গে মিশতেই পারছে না। স্কুল খোলা দরকার কিন্তু বাচ্চারা এখনও ভ্যাকসিন পায়নি। তারা কতটা করোনাবিধি মেনে চলতে পারবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। সব মিলিয়ে ওদের জন্যই সবচেয়ে কঠিন সময় এটা। সহজ অনলাইনে ক্লাস করছে, ভিডিও কলে গল্প করছে। এখন তো কারও বাড়ি যাতায়াত নেই। তবে খুব অবাক লাগে এটা দেখে, ছোটরাও মাস্ক, স্যানিটাইজারে অভ্যস্থ হয়ে যাচ্ছে। আমি কাজের বাইরে সবসময়টা সহজকে দেওয়ার চেষ্টা করি। একসঙ্গে সিনেমা দেখি, বই পড়ি, গান শুনি, খেলা করি... ওদের ব্যস্ত রাখাটা ভীষণ জরুরি।'